কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
নবান্ন সূত্রে খবর, দেশজুড়ে করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহের প্রক্রিয়া স্থির করতেই মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার তিনি এব্যাপারে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। তারপরই রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বসার সিদ্ধান্ত নেন। জানা গিয়েছে, টিকা সরবরাহের জন্য একটি কোল্ড চেইন তৈরি করবে কেন্দ্র। স্বাস্থ্যদপ্তর হবে তার নোডাল এজেন্সি। এর আগে এব্যাপারে রাজ্যের মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছিল মোদি সরকার। ইতিমধ্যে তা গঠিত হয়েছে। ভ্যাকসিনে স্বাস্থ্যকর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যদপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছেন জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। নামের তালিকাও তৈরি। কো-মরবিড রোগীদের মধ্যে টিকাকরণের ব্যাপারে একটি সমীক্ষারও নির্দেশ এসেছিল। সেই কাজ শুরু হয়েছে বলে খবর।
গোটা পর্বের অগ্রগতির পাশাপাশি, ভ্যাকসিন সরবরাহের প্রক্রিয়ার আরও খুঁটিনাটি সম্পর্কে ভিডিও বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে অনুমান নবান্নের শীর্ষকর্তাদের। করোনাযোদ্ধা অর্থাৎ, ডাক্তার, নার্স, পুলিসদের টিকায় অগ্রাধিকার দেওয়ার ব্যাপারে অবস্থান ইতিমধ্যে স্পষ্ট করে দিয়েছে মোদি সরকার। তাঁদের নামের তালিকা তৈরির কাজ সর্বত্রই প্রায় শেষের পর্যায়ে। এছাড়া বৈঠকে আলোচনা হবে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি নিয়েও। দিল্লি, গুজরাত সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নতুন করে আক্রান্ত বাড়ছে। কয়েকটি জায়গায় কড়াকড়িও শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।
তবে বৈঠকের আগেই নির্ধারিত সফরের কর্মসূচি সেরে নিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ হেলিকপ্টারে করে মুকুটমণিপুর লাগোয়া গোড়াবাড়ির একলব্য স্কুলের মাঠে নামেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শ্রীরামপুরের সংসদ সদস্য কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখার জন্য ভিড় জমান স্থানীয় বাসিন্দারা। সেখান থেকে মুকুটমণিপুর সেচ বাংলোয় গিয়ে ওঠেন মমতা। সেখানে ঢোকার মুখেই তিনি জেলা পরিষদের মেন্টর অরূপ চক্রবর্তী ও শ্যামল সাঁতরাকে ডেকে নেতাদের নিয়ে কল্যাণবাবুর সঙ্গে বৈঠক করার কথা বলেন। ওই বৈঠকে শুভাশিস বটব্যাল, জোৎস্না মাণ্ডি, শম্পা দরিপা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আজ, সোমবার খাতড়ার সিধু-কানহো মাঠে (এটিএম মাঠ) দুপুর ১টায় প্রশাসনিক সভায় অংশ নেবেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সভা থেকে জেলার মোট ১৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ১৪টি প্রকল্পের শিলান্যাস করার কথা রয়েছে তাঁর। এছাড়াও তিনি রাজ্য সরকারের ৩৫টি প্রকল্পে কয়েক হাজার মানুষের হাতে বিভিন্ন প্রকার সুবিধা তুলে দেবেন। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটেয় বাঁকুড়া রবীন্দ্রভবনে জেলার প্রশাসনিক আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে রিভিউ মিটিং করবেন মমতা। এরপর বুধবার শুনুকপাহাড়িতে রাজনৈতিক জনসভায় অংশ নেবেন।