গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
২৬ নভেম্বর সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল মূলত কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি। সদ্য পাশ হওয়া শ্রম কোডগুলির নানা ধারার বিরোধিতার পাশাপাশি লকডাউন পর্বে অশেষ দুর্দশায় পড়া দেশের কোটি কোটি শ্রমজীবী মানুষকে নগদ অর্থ ও খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার দাবিতে তাদের ওই ডাক। ধর্মঘটকে সফল করার জন্য গোটা বাম শিবির অবশ্য আদাজল খেয়ে ময়দানে নামার প্ল্যান করেছে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের তামাম কৃষক সংগঠন যৌথভাবে ওইদিন গ্রামীণ ভারত ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পৃথকভাবে। যৌথ মঞ্চের তরফে এরাজ্যেও কৃষক সংগঠনগুলি গ্রামীণ বাংলায় হরতাল পালনের আহ্বান জানিয়েছে। এই উপলক্ষে ৪ নভেম্বর মৌলালির রামলীলা ময়দানে একটি গণকনভেনশনের আয়োজন করে তারা ধর্মঘটের প্রচার আরম্ভ করবে আনুষ্ঠানিকভাবে। তার আগে অবশ্য ৩ তারিখ গোটা বাম শিবির কলকাতায় পার্ক সার্কাস থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মহামিছিলের কথা ঘোষণা করেছে একই ইস্যুতে।
হাইকমান্ডের নির্দেশ মেনে প্রদেশ কংগ্রেস আজ সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্ম ও ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুদিবস পালন করবে সেই কৃষক ইস্যুতেই। এই কর্মসূচিকে সোনিয়া গান্ধীর দল ‘কিষান অধিকার দিবস’ হিসেবে পালন করবে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিধান ভবনের সামনে চলবে উপবাস-সত্যাগ্রহ কর্মসূচি। বিভিন্ন জেলা ও ব্লকেও অনুরূপ কর্মসূচি পালনের জন্য জেলা সভাপতিদের ভার্চুয়াল বৈঠকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরি। এরপর কৃষক ইস্যুতে আগামী ৬ তারিখ কলকাতা ও জেলাগুলিতে ট্রাক্টর মিছিলের আয়োজন করছে কংগ্রেস। প্রথমে না পেলেও সেদিন ইন্দিরা গান্ধীর মূর্তি থেকে গান্ধীজির মূর্তি পর্যন্ত এই মিছিলের পুলিসি অনুমোদন আদায় করেছে প্রদেশ নেতৃত্ব। সেদিন এই কর্মসূচিতে অধীরের পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান সহ শীর্ষ নেতৃত্ব অংশ নেবেন।