পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কীভাবে বিষয়টি প্রকাশ্যে এলো? গত ২৩ সেপ্টেম্বর তাজ-রাজা ভবানীপুর এলাকার একটি নামী শোরুমে যায়। সেখান থেকে আইফোন, আইপ্যাড সহ দামি দামি জিনিস পছন্দ করে। তারা জানায়, এই সমস্ত পণ্য বেশি পরিমাণে লাগবে। এরজন্য কোটেশনও নেয়। সব মিলিয়ে বিল হয় ৫ লাখ ১৭ হাজারেরও বেশি টাকা। চেকে টাকা পেমেন্ট করা হবে বলে জানিয়ে শোরুম ছাড়ে অভিযুক্তরা। দোকানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বরও নিয়ে যায় তারা। সেখান থেকে চলে আসে হোটেলে। এরপর একটি চেক ইস্যু করে ব্যাঙ্কে গিয়ে জমা করে আসে। কিছুক্ষণের মধ্যে তারা ওই দোকানে আসে। কর্মীদের জানায়, আপনাদের অ্যাকাউন্টে চেক জমা হয়ে গিয়েছে। এক কর্মী ব্যাঙ্কে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, সত্যিই চেক জমা পড়েছে এবং খরিদ্দারের অ্যাকাউন্টে যথেষ্ট পরিমাণ টাকাও রয়েছে।
কিন্তু মজার বিষয় হল, চেক জমা পড়ার পর কিছুক্ষণের মধ্যে সেটি রিভার্স হয়ে যায়। তা দেখে সন্দেহ হয় ওই শোরুমের। তখনই আটকে দেওয়া হয় মাল ডেলিভারির প্রক্রিয়া। তাজ ও রাজাকে বলা হয়, কিছু সমস্যা হচ্ছে। ডেলিভারি যেদিন হবে খবর যাবে। এরই পাশাপাশি কর্মীরা খোঁজ করতে গিয়ে জানতে পারেন, রাজারহাট ও চিনার পার্ক এলাকায় তাদের শোরুম থেকে একই কায়দায় জিনিস ডেলিভারি নিয়ে নেওয়া হয়েছে। যার মূল্য প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। সঙ্গে সঙ্গে তারা ভবানীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এর পর তাজদের মাল ডেলিভারি দেওয়ার নাম করে ডেকে পাঠানো হয়। পুলিসও সেখানে হাজির হয়। ওই দুজন হাজির হলে পুলিস তাদের হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে।
কীভাবে এই প্রতারণা চক্র চালাচ্ছিল রাজারা? তাদের জেরা করে পুলিস জানতে পারে, চেকের সই তারা উল্টো-পাল্টাভাবে করতো। শোরুমের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য দরদস্তুর করার পর চেক কেটে নিজেরা ব্যাঙ্কে জমা দিত। সেটি দেখিয়ে মাল ডেলিভারি নিয়ে নিত। চেকের সইয়ের সঙ্গে অভিযুক্তদের অ্যাকাউন্টের সই না মেলায় তা ক্লিয়ার হতো না। ফলে, সেটি ঘুরে আবার অভিযুক্তদের অ্যাকাউন্টে চলে যেত। এর মধ্যেই তারা দামি দামি জিনিস হাতিয়ে ঝাড়খণ্ডে পালাতো। এই কায়দায় অভিযুক্তরা আরও অনেক জায়গায় প্রতারণা করেছে বলে জানা যাচ্ছে। এরা সকলে জামতাড়া গ্যাং এর সদস্য বলে তদন্তে উঠে এসেছে। হাতানো সামগ্রী তারা বিক্রি করতো স্থানীয় দোকান বা ব্যাক্তিদের কাছে। চক্রের জাল কতদূর ছড়িয়েছে তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।