বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
৭৪ বছরে পদার্পণ করা এই পুজো কমিটি এবার সম্পূর্ণ থিমের পথে না হেঁটে বাংলার হস্তশিল্পকেই প্রতিমা নিমরাণে ব্যবহার করেছিল। প্রতিমার শাড়ি শীতলপাটি দিয়ে তৈরি করা হয়। দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, অসুরের মুখ তৈরি করা হয় বেতের ঝুড়ি দিয়ে। পাশাপাশি ঠাকুরের গয়নার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল ঝিনুক, শামুক এবং বড়ি। বাকি কাঠামোর জন্য বাঁশ ব্যবহার করা হয়েছিল। মণ্ডপ জুড়ে এই সব সামগ্রী দিয়ে নিখুঁত কাজ ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল। প্রতিমা নির্মাণ করেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির শিল্পী অমিয় মণ্ডল। দর্শনার্থীরা এই মূর্তি দর্শন করলেও, পুজো উদ্যোক্তারা অন্য একটি ছোট ঠাকুর এনে রেখে ছিলেন। সেটি পূজিত হয়। বুধবার সেই ঠাকুর ভাসান দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মূল প্রতিমা রেখে দেওয়া হয়। পুজো কমিটির সম্পাদক সঞ্জয় সেনগুপ্ত বলেন, আমাদের প্রতিমা সংরক্ষণ করার জন্য যদি প্রস্তাব আসত, তাহলে আমরা তাতে রাজি হতাম। কিন্তু সেরকম কিছু আসেনি। তাই যিনি শিল্পী তাঁকেই প্রতিমা দিয়ে দেওয়া হবে। উদ্যোক্তাদের মতে, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে পুজো মণ্ডপের ভিতরে কোনও দর্শনার্থীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। সে কারণেই হয়তো দূর থেকে অনেকেই প্রতিমা কী দিয়ে তৈরি হয়েছে, তা বুঝে উঠতে পারেননি। সে কারণেই হয়তো এমন প্রতিমা সংরক্ষণের প্রস্তাবও আসেনি। আক্ষেপ করে জানান পুজো কমিটির কর্তারা।
করোনা পরিস্থিতিতে অনেক জায়গাতেই বিসর্জন হয়নি। কিছু জায়গায় প্রতীকি হিসেবে প্রতিমাকে জলে ডুবিয়ে ভাসান দেওয়া হয়েছে। যেমন ত্রিধারা সম্মিলনীতে হোস পাইপের সাহায্যে মূর্তি গলিয়ে কৃত্রিম জলাশয় ভাসান দেওয়া হয়। যদিও সে পথে হাঁটেনি এলাচির এই ক্লাব। তার কারণ যেসব সামগ্রী দিয়ে দুর্গা প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে, তা বিসর্জন দিয়ে নষ্ট করতে চাইছেন না উদ্যোক্তারা।