কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতে আল-কায়েদা জঙ্গি সংগঠনের হেড কোয়ার্টার কাশ্মীর। সেখান থেকেই সমস্ত কাজকর্ম পরিচালিত হয়। কিন্তু, বছর খানেক কাশ্মীরে কড়া নজরদারি থাকায় বেশ কয়েকজন জঙ্গি পাকিস্তান ও বাংলাদেশে গা ঢাকা দিয়েছে। বাংলাদেশ থেকেই তারা এ রাজ্যে জাল বিস্তার করতে চাইছে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর এরাজ্যের মুর্শিদাবাদ থেকে ৬ জন ও কেরল থেকে তিনজন আল-কায়েদা সদস্য গ্রেপ্তার হওয়ার পরই তারা প্ল্যান বদল করেছে। সংগঠনের সদস্য বৃদ্ধির পাশাপাশি হাইড আউট জোন গড়ার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে নদীয়া, পূর্ব বর্ধমান ও হুগলি জেলায় এই জোন গড়ছে।
গোয়েন্দাদের দাবি, নদীয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার ঘোজাডাঙা ও পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে কুখ্যাত জঙ্গিদের যাতায়াতের ইতিহাস থাকলেও নদীয়া সীমান্তে তা নেই। তাই নদীয়ার উপর গোয়েন্দাদের নজরদারি কম থাকে। সেই কারণে এই জেলা জঙ্গিদের কাছে তুলনামূলকভাবে নিরাপদ। নদীয়ার লাগোয়া জেলা পূর্ব বর্ধমান এবং হুগলি। অতীতে এই তিন জেলায় আল-কায়েদার কোনও কার্যকলাপ দেখা যায়নি। বছর ছ’য়েক আগে বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বম্ব বিস্ফোরণের পর জামাত উল মুজাহিদিনের কার্যকলাপ সামনে এসেছিল। সেই সময় ধরপাকড় চললেও এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। তাই এখন এই তিন জেলাকে জঙ্গিরা হাইড আউট জোন করতে চাইছে।
গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, এই তিন জেলায় কিছু কিছু পকেটে স্লিপার সেল ছিল। কিন্তু, কেন্দ্রীয়ভাবে হাউড আউট জোন গড়ার সিদ্ধান্তের পর এই স্লিপার সেলের সংখ্যা বাড়ানোর কাজ চলছে। জঙ্গি সংগঠনের বেশ কয়েকজন পুরনো সদস্যকে হাউড আউট জোন গড়ার কাজে নামানো হয়েছে। তারাই জেলায় জেলায় গিয়ে স্লিপার সেলের সংখ্যা বাড়াচ্ছে। এছাড়াও কলকাতা সংলগ্ন উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার কয়েকটি এলাকায় সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর কাজ চলছে। এমনকী, কোচবিহার সহ উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলাও তাদের টার্গেটের মধ্যে রয়েছে।
গোয়েন্দাদের দাবি, হাইড আউট জোন তৈরি আল-কায়দার একটি বড় ‘মিশন’। পাকিস্তানের মদতে বাংলাদেশে বসে জঙ্গি সংগঠনের মাথারা ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করছে। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার জন্যই পুরনো সদস্যদের মাঠে নামানো হয়েছে।