পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
চলতি বছর বিসর্জন হচ্ছে আদালতের নির্দেশের বেড়াজালে। পুজো উদ্যোক্তাদের ঘাটে ঢোকা বারণ। উদ্যোক্তাদের এক থেকে দু’জন ঘাটে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন। তাছাড়া শোভাযাত্রা করা যাবে না। ম্যাটাডোরে করে ঠাকুর নিয়ে বিসর্জনে যেতে গেলেও কম সংখ্যক লোক নিয়ে যেতে হবে। এমনই নানা নির্দেশ প্রশাসনের। ফলে, গাড়ি থেকে প্রতিমা নামানো থেকে শুরু করে সাত পাক ঘোরানো, তারপর নিরঞ্জন, সবটাই হচ্ছে কুলিদের মাধ্যমে। ফলে কুলি লাগবেই। শহরের ১৬টি ঘাটে চলছে বিসর্জন পর্ব। সব জায়গায় কুলিরাই প্রতিমা দড়ি দিয়ে টেনে জলে নিয়ে গিয়ে ফেলছেন। বাবুঘাট, জাজেস ঘাটে গত কয়েকদিন কুলিদের রমরমা বাজার। ‘অন্য বছর আয় মোটামুটি হয়। তবে এই বছর অনেকটাই বেশি। গত তিন দিনে শুধু বাবুঘাটেই ৮০টি প্রতিমা বিসর্জন দিয়েছি’, বলেছিলেন রাকেশ যাদব। কোনও কুলির দল ৬০-৭০টি, কোনও দল আবার ১০০ টিরও বেশি প্রতিমা নিরঞ্জন করেছে। পুজো উদ্যোক্তাদের অতিরিক্ত খরচ কম হচ্ছে না। ন্যূনতম ৫০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত দর উঠছে নিরঞ্জন পর্বে। ছোট থেকে বড় প্রতিমা, বিসর্জনের জন্য মোটামুটি এই টাকায় গুনতে হচ্ছে উদ্যোক্তাদের। সবথেকে বেশি সমস্যা হচ্ছে ছোট পুজোর। জাজেস ঘাটে দাঁড়িয়ে এন্টালির বাসিন্দা ভাস্কর সাহা বলেন, ‘এবছর এটা এক্সট্রা খরচ। অন্য বছর বাড়ি বা পাড়ার লোকেরা হৈ-হুল্লোড় করতে করতে আসে। নিজেরাই হাত লাগিয়ে বিসর্জন হয়ে যায়। কিন্তু এবছর কুলি নিতে আপনি বাধ্য।’ করোনাকালে এমনিতেই আর্থিক অনটনে কম- বেশি সকল পেশার মানুষেরাই। কিন্তু, নয়া বিসর্জন বিধিতে অন্তত কিছুটা হলেও পোয়া বারো কুলিদের। ভাসানের এই দিন চারেক তাঁদের মুখে তাই হাসি ফুটেছে।