কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তবে সরকারের এহেন উদ্যোগের বাস্তবতার প্রশ্নে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে গোটা টেলিকম ক্ষেত্রজুড়ে। এই পদক্ষেপের ফলে সরকারি দু’টি টেলিকম সংস্থার কোষাগার বেশ কিছুটা উন্নতির মুখ দেখবে বলে মনে করছে সরকারি মহল। পুঞ্জীভূত লোকসানের বোঝা আর না বাড়ানোর ক্ষেত্রে এই টোটকা অনেকটা কাজ করবে বলে তাদের ধারণা। কিন্তু, টেলিকম ক্ষেত্রের অনেক বিশেষজ্ঞর ধারণা, এতে বিশেষ কিছুই উপকার হবে না দুই সংস্থার। কারণ, সরকার কেবল ল্যান্ডলাইন, ব্রডব্যান্ড, লিজ লাইন প্রভৃতির মতো ওয়ারলাইন পরিষেবার জন্য এই নিদান দিয়েছে। সামগ্রিক পরিষেবার নিরিখে বর্তমানে মোবাইলসহ গোটা ওয়ারলেস টেলিকম পরিষেবা বাজারের ৭৯ শতাংশ দখল করে রয়েছে। বেসরকারি ফিক্সড ব্রডব্যান্ড সংস্থাগুলি আরও ৯ শতাংশ বাজার দখলে রেখেছে। সেই নিরিখে বাকি পড়ে থাকা ১২ শতাংশ বাজার ল্যান্ডলাইন, ইন্টারনেট, ব্রডব্যান্ড, লিজড লাইনের মতো ওয়ারলেস পরিষেবার জন্য ধার্য রয়েছে। এই ক্ষুদ্র অংশের বাজারে প্রতিযোগিতার মধ্যে টিকে থাকার লড়াইয়ে কেন্দ্রের এই নিদান কতটা কাজে আসবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ওই বিশেষজ্ঞরা।
তবে টেলিকম মন্ত্রকের আধিকারিকরা অভয় দানের সুরে জানিয়েছেন, বিএসএনএল-এমটিএনএল-এর লোকসানের বহর যতই হোক না কেন এখনই তা বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার যে কোনও পরিকল্পনা সরকারের নেই, তা এই পদক্ষেপ থেকেই স্পষ্ট। তাই এনিয়ে কর্মী সংগঠন বা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির আশঙ্কা নেহাতই অমূলক। প্রসঙ্গত, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে এই দুই সংস্থার মোট লোকসান হয়েছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। বিগত তিনটি অর্থবর্ষের হিসেব ধরে শুধুমাত্র বিএসএনএলের ক্ষেত্রে এই লোকসানের মোট অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকা। সম্প্রতি সংসদে এই হিসেব পেশ করেছেন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সঞ্জয় ধোত্রে। তবে মন্ত্রকের সিনিয়র আধিকারিকদের একাংশ বলছেন, এই দুই সংস্থার ল্যান্ডলাইন এবং ব্রডব্যান্ড পরিষেবার প্রতি অনীহা দেখিয়ে এই তিন বছরে লক্ষ লক্ষ গ্রাহক মুখ ফিরিয়েছেন। সংস্থার এই হারানো গুডউইল পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে মন্ত্রকের এই সর্বশেষ পদক্ষেপ তেমন সাহায্য করবে না।