গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এছাড়াও সাধারণ মানুষের কাছে একাধিক প্রশ্ন রেখেছে পিকের সংস্থা। বলা হয়েছে, আপনি কি বিভেদের রাজনীতির বিরোধিতা করেন? আপনি কি একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে কথা বলবেন? আপনি কি অসাম্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান? আপনি কি আপনার স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে? এই ধরনের প্রশ্নের পরে ‘বাংলা বাঁচাও’-এর ডাক দেওয়া হয়েছে।
আইপ্যাক সংস্থা জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ৫ লক্ষ মানুষ নিজেকে বিজেপি থেকে সুরক্ষিত চিহ্নিত করেছেন। যাঁদের বেশিরভাগ ১৮-৩৫ বছর বয়সি। এছাড়াও ফেসবুক গ্রুপে ৮২ হাজারের উপর সদস্য সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা। এই প্রচার কর্মসূচির ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, বিজেপি মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে। শান্তি, সংহতি ও সম্প্রীতির পরিবেশকে বিনষ্ট করতে চাইছে। এবং একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছে। তার বিরুদ্ধেই সমস্ত মানুষকে সংগঠিত করে প্রতিবাদকে জানান দেওয়া।
তৃণমূল নেতৃত্ব বলছে, করোনা পরিস্থিতির জেরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দলীয় কাজকর্ম করা হচ্ছে। কিন্তু মানুষের ঘরে পৌঁছতে ফেসবুক, টুইটার, ওয়েবসাইট প্রভৃতি এখন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। আর সেখানেই বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে কী কী ঘটনা ঘটছে তা ছবি দিয়ে মানুষকে জানানো হচ্ছে। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের হাতরাসে দলিত তরুণীর উপর নির্যাতনের ঘটনায় সরব হয়েছে তৃণমূল। বিজেপির বিরুদ্ধে দেশ-বিরোধী আওয়াজ উঠেছে। সেটাকেই বিশেষভাবে কাজে লাগাতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল। আর তার জন্যেই বিজেপি থেকে নিজেকে ‘নিরাপদ’ চিহ্নিতকরণের প্রচার কর্মসূচি তৃণমূলের।