উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
সেপ্টেম্বর মাসে আল কায়েদার ন’জন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ। তার মধ্যে ছ’জন ধরা পড়ে মুর্শিদাবাদে। ধৃতদের কাছ থেকে জিহাদি বই, বিস্ফোরক তৈরির বেশ কিছু সামগ্রী উদ্ধার হয়। এই ছ’জনকে এখন রাখা হয়েছে দিল্লির জেলে। তাদের জেরা করে মামুদ ও অদ্যুতের নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা। এরা সকলেই মুর্শিদাবাদে সংগঠন গড়ে তোলার দায়িত্বে ছিল। তাদের সঙ্গে জঙ্গি মুর্শেদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। ন’জন জঙ্গি গ্রেপ্তার হওয়ার পর ওই দু’জন গা ঢাকা দেয়। জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের একটি খারিজি মাদ্রাসাতে তারা নিয়মিত যেত। সেখানে ধর্মশিক্ষার আড়ালে জেহাদি পাঠ দেওয়া হতো। মাদ্রাসায় যারা আসত, তাদের মগজ ধোলাই করে সংগঠনে নিয়ে আসাই লক্ষ্য ছিল তাদের। এখান থেকেই জনা পঞ্চাশ সদস্যকে বাছাই করে বাংলাদেশে পাঠানো হয় প্রশিক্ষণের জন্য। পাশাপাশি, অনুমোদনহীন এই মাদ্রাসায় বিস্ফোরক তৈরির কাজ চলত বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, স্থানীয় একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তাদের অবাধ যাতায়াত ছিল। সেখানে ধর্মচর্চার নাম করে বিস্তার ঘটাত সংগঠনের।
এনআইএ জানতে পারে, ওই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের এক পদাধিকারী হল এক সিভিক ভলান্টিয়ার। মামুদ ও অদ্যুতের বিষয়ে তথ্য পেতেই তাঁকে ডাকা হয়। তারা কবে কবে আসত, কী ধরনের কাজকর্ম করত, শেষ কবে এসেছিল—এই সব প্রশ্নই করা হয় ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে। তবে তার থেকে বিশেষ কিছু জানা যায়নি। এক ধর্মগুরুকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কারণ তাঁর সঙ্গে ওই জিহাদিদের পরিচয় ছিল। এনআইএ’র কাছে খবর, ওই দুই জঙ্গি প্রায়শই বাংলাদেশে যেত জলসায় অংশ নিতে। চাঁপাই-নবাবগঞ্জে জলসার আসর বসত। বাংলাদেশের ওই জেলা জেএমবি এবং আল কায়েদার আঁতুড়ঘর বলে পরিচিত। তারা মুর্শিদাবাদের বেশ কয়েকজন যুবককেও জলসা শোনানোর জন্য নিয়ে যেত বাংলাদেশে। পরে ওই যুবকরাই জঙ্গি সংগঠনের স্লিপার সেল হিসেবে কাজ করতে শুরু করে। আল কায়েদার বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের শীর্ষনেতারা হাজির থাকত এই জলসায়। তারাই ওই দুই জেহাদিকে দায়িত্ব দেয় মুর্শিদাবাদে সংগঠন গড়ে তোলার। আসলে এখান দিয়ে সহজে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে যাওয়া যায় বলে এই জেলাকে বেছে নেওয়া হয়। তদন্তকারী অফিসারদের কাছে খবর, ওই দুই জঙ্গির কাছে দু’দেশেরই পরিচয়পত্র আছে। সীমান্ত এলাকায় জমিও কিনেছে তারা। সেখানে খারিজি মাদ্রাসা গড়ে তুলে জেহাদি পাঠশালা তৈরির পরিকল্পনা ছিল তাদের। আবার তাদের সঙ্গে কেরলের আল কায়েদা নেতাদের যোগের প্রমাণ মিলেছে বলে জানা যাচ্ছে। এদের প্রতি সহানুভূতিশীল কয়েকজন ব্যক্তির নাম হাতে পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, যারা নানাভাবে এই জঙ্গি সংগঠনকে সাহায্য করে। তাদেরও জেরা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।