কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলওয়ামা হামলায় মাসুদ আজহারের সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। সেই প্রমাণ দাখিল করার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি বারবার পাকিস্তান সরকারকে জানিয়ে এসেছে ভারত। পাকিস্তান লোক দেখানো কিছু পদক্ষেপ নিলেও দিল্লির চাপে রাষ্ট্রসঙ্ঘ কিন্তু মাসুদকে ‘গ্লোবাল টেররিস্ট’ বা বিশ্ব সন্ত্রাসবাদীর তালিকাভুক্ত করেছে। তারপরও অবশ্য ইসলামাবাদের কাজে কর্মে খুব একটা ফারাক হয়নি। উল্টে মাসুদ, হাফিজ সইদের মতো আন্তর্জাতিক জঙ্গিদের পরোক্ষে মদত দিয়ে যাচ্ছে তারা।
তাই পড়শি দেশের উপর এতটুকু আস্থা না রেখেই মাসুদের কাজকর্ম নিয়ে নিয়মিত খোঁজখবর চালিয়ে গিয়েছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। জানা যাচ্ছে, শুধুমাত্র কাশ্মীর নয়, বাংলা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে জয়েশের স্লিপার সেল। বসিরহাট থেকে ধৃত লস্কর জঙ্গি তানিয়া পারভিন এ রাজ্যে বসে লস্করের পাশাপাশি জয়েশ জঙ্গিদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখত বলে প্রমাণ মিলেছে। জঙ্গি সংগঠনের সদস্যেদের ফোনে আড়ি পেতে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, ফের বড়সড় হামলার প্রস্তুতি নিয়েছে মাসুদ আজহার। এই ছক কার্যকরের নেপথ্যে যে জঙ্গিরা রয়েছে, তাদের সবক’টি দলই আসছে পাকিস্তান থেকে। এবং তাদের প্রত্যেকেই প্রতিবেশী দেশের ‘টপ মোস্ট’ জঙ্গি। ভারতে জয়েশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে এ নিয়ে নিয়মিত কথাবার্তা চলছে পাকিস্তানের জঙ্গি নেতৃত্বের। সেই কথোপকথন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, অপারেশনের জন্য কাজে লাগানো হচ্ছে কাশ্মীরের কয়েকজন বাছাই করা জয়েশ জঙ্গিকেও। মূল ছক আত্মঘাতী হামলার। তাই এর জন্য করাচিতে বিশেষ প্রশিক্ষণও হয়েছে জঙ্গিদের। গোটা বিষয়টিই দেখভাল করছে স্বয়ং মাসুদ আজহার।
গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, অপারেশনের জন্য প্রত্যেককে ২২ থেকে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দিচ্ছে মাসুদ। পুরো টাকার জোগান দিচ্ছে আইএসআই। হামলার জন্য ইন্ডিয়ান পুলিস অ্যাকাডেমিকে বেছে নেওয়ার কারণ হল, পুলিস বাহিনীর মধ্যে ভয় ঢুকিয়ে দেওয়া। তালিকায় রয়েছে মুম্বইও। বাণিজ্যনগরীকে বারবার পাক জঙ্গিরা টার্গেট করে এসেছে। তার কারণ, অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্রে নাশকতার প্রভাব সব সময়ই বেশি। রয়েছে ‘সিরিজ অফ অ্যাটাক’-এর প্ল্যান। এই তথ্য হাতে আসা মাত্র নড়েচড়ে বসেছেন সমস্ত এজেন্সির কর্তারা। কারা অপারেশন স্কোয়াডে আছে, তাদের নাম জোগাড় করার পাশাপাশি কোন পথ দিয়ে সেই জঙ্গিরা দেশে ঢুকবে এবং কোন সীমান্ত ব্যবহার করবে, সে ব্যাপারে খোঁজখবর চালানো হচ্ছে। প্রশ্ন আরও একটা রয়েছে? এবারও কি মাধ্যম হবে সমুদ্রপথ? সেই উত্তরও খুঁজে চলেছেন গোয়েন্দারা।