কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
দিলীপ ঘোষের উপলব্ধি, একটা সময় ছিল যখন বিজেপির বুথভিত্তিক কর্মী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর ছিল। আর আজ প্রতি বুথে একাধিক সক্রিয় কর্মী রয়েছেন পদ্ম বাহিনীর। ২০১৮ পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের অত্যাচার, খুন, রক্তাক্ত রাজনীতি ও গণনায় কারচুপির অভিযোগ এনেছেন চিঠিতে। এহেন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ৬ হাজারের বেশি আসনে জয়লাভের পুরো কৃতিত্ব কর্মীদের দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। শাসক দলের প্রতি চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে সতীর্থদের উজ্জীবিত করতে চেয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির শাসন প্রতিষ্ঠা করতেই হবে। রাজ্য সভাপতি হিসেবে কর্মীদের উদ্দেশে তাঁর আবেদন, বাংলার স্বার্থে, বাঙালির স্বার্থে আবারও একবার নিজেদের উজাড় করে দিতে হবে। প্রমাণ করতে হবে, সদিচ্ছা থাকলে যে-কোনও অসাধ্য সাধন আমাদের কাছে অতি ক্ষুদ্র বিষয়। ২০২১ বিধানসভা ভোটে আমাদের সকলকে একজোট হয়ে লড়াই করে জয় ছিনিয়ে আনতে হবে। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, একদিকে, নিজেকে বঙ্গ বিজেপির সাম্প্রতিক সাফল্যের কারিগর হিসেবে তুলে ধরলেন। অন্যদিকে, বিধানসভা ভোটের আগে সমস্ত কর্মী নেতার ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জোরালো বার্তা দিলেন। যার পিছনে দিলীপবাবুর সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক ভাবনা রয়েছে। যার মূল লক্ষ্য কিছু কেন্দ্রীয় নেতা এবং তৃণমূল থেকে আসা নব্য নেতৃত্বকে বার্তা দেওয়া। যারা সম্প্রতি অনেক কিছুই নিজেদের খেয়ালখুশি অনুযায়ী করছেন। সল্টলেক দুর্গাপুজোর আয়োজন তার মধ্যে অন্যতম। পুজো করা কোনও রাজনৈতিক দলের কাজ হতে পারে না। এই বিশ্বাসে বিশ্বাসী দিলীপ ঘোষ ইজেডসিসির পুজোকে কখনওই দলের পুজো হিসেবে স্বীকৃতি দেননি। তাই চিঠির মাধ্যমে কর্মীদের স্মরণ করিয়ে দিলেন, দুঃসময়ে তিনি দলকে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলার প্রধান বিরোধী হিসেবে বিজেপিকে প্রতিষ্ঠা দিয়েছেন। তাই এখন এ-দল সে-দল থেকে আসা নেতাদের কথায় নাচা ঠিক নয়। পাশাপাশি আদি ও নব্যদের মধ্যে জেলায় জেলায় দ্বন্দ্ব বেড়ে চলেছে। সংশ্লিষ্ট কিছু নেতা তাতে ইন্ধন জোগাচ্ছেন বলে দলীয় সূত্রে খবর। বিধানসভা ভোটের আগে লক্ষ্য বেঁধে দিয়ে একতার সুর শোনানোর চেষ্টা করলেন।