রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
অষ্টমীর সন্ধ্যায় রাজ্যপাল বেলুড় মঠ পরিদর্শনে যান। সেখানে সন্ধ্যারতি দেখার পর স্ত্রী সুদেশ ধনকারকে নিয়ে তিনি যান পাম অ্যাভিনিউয়ে বুদ্ধদেববাবুর সরকারি আবাসনের ফ্ল্যাটে। রাজ্যপালের এই কর্মসূচির কথা বুদ্ধদেববাবুর স্ত্রী মীরা দেবীকে আগেই জানানো হয়। হলুদ গোলাপের তোড়া দিয়ে শয্যাশায়ী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে পুজোর শুভেচ্ছা জানান ধনকার। পরে বাইরে বেরিয়ে তিনি জানান, বুদ্ধদেববাবুর শারীরিক কুশল কামনা করতেই তাঁর এই কর্মসূচি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী একজন জীবন্ত কিংবদন্তি। তাঁর সঙ্গে কথা বলে আমি নিজেকে সমৃদ্ধ করি। তাই এদিনও রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে এর আগেও একবার পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন ধনকার। কিন্তু তখন বুদ্ধদেববাবুর শরীর এতটা ভাঙা ছিল না। বিছানায় বসেই তিনি সেদিন কথা বলেছিলেন। তবে এবারের পরিস্থিতি কিছুটা হলেও ভিন্ন। তাই নাকে অক্সিজেনের নল লাগানো শয্যাশায়ী বুদ্ধদেববাবুর ছবি ধনকার সেদিন রাতেই তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে দেওয়ায় তীব্র আপত্তি তোলে সিপিএম। এই ধরনের ছবি প্রচার রুচিহীনতার নামান্তর এবং তা জনমানসে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে—এই মর্মে বিঁধে ধনকারকে সেগুলি প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানিয়ে দলের তরফে পাল্টা টুইট করা হয়। এমনকী, তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কংগ্রেস এমপি প্রদীপ ভট্টাচার্য পর্যন্ত রাজ্যপালের এই কাজের নিন্দা করেন। কিন্তু মঙ্গলবার একাদশীর সন্ধ্যা পর্যন্ত এব্যাপারে নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল থেকেছেন ধনকার। যদিও তাঁর সচিবালয়ের আধিকারিকরা এই ছবি তুলে নেওয়ার কোনও অভিপ্রায় রাজ্যপালের নেই বলেই জানিয়েছেন। এব্যাপারে তাঁরা অতীতে বিভিন্ন নেতানেত্রীর একই ধরনের কাজের উদাহরণ সামনে এনেছেন।