কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের সংশ্লিষ্ট পাড়ার ডাক্তারের নম্বর দিয়ে দেওয়া হবে। ওই রোগী যদি ইতিমধ্যেই কোনও ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে থাকেন, তাহলে তিনি ইচ্ছা করলে সেই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারবেন। পাড়ার ডাক্তারদেরও একইভাবে এলাকার করোনা রোগীদের নম্বর দিয়ে দেওয়া হবে। কারণ, স্বাস্থ্যকর্তারা গত একমাস ধরে লক্ষ্য করছেন, বাড়িতে থাকা করোনা রোগীদের একাংশের শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। অনেকেই যখন হাসপাতালে আসছেন, তখন অবস্থা এতটাই খারাপ থাকছে যে, বিশেষ কিছু করার থাকছে না। প্রাথমিকভাবে করোনার প্রকোপ বেশি থাকা কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলিতে এই কর্মসূচি চালু হবে। ধাপে ধাপে অন্য জেলাগুলিতেও তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে। প্রথম ধাপে এক হাজার স্থানীয় চিকিৎসক বা ফ্যামিলি ফিজিশিয়ানকে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। চিকিৎসক পিছু চারজন করে রোগীকে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
কিন্তু ফি কী হবে? কীভাবেই বা চিকিৎসকরা রোগীকে পরিষেবা দেবেন? সরকারি সূত্রের খবর, এইসব ডাক্তারদের ফি সরকার বেঁধে দিচ্ছে না। তবে এই আবেদন থাকবে যে, করোনার কঠিন সময়ে মানুষের সাধ্যের মধ্যেই যেন ফি নেওয়া হয়। টেলিফোনে, অনলাইনে বা বাড়িতে গিয়ে রোগী দেখতে পারবেন এই স্থানীয় চিকিৎসকরা। কীভাবে, সেটা তাঁদের উপরই ছেড়ে দেওয়া হবে।
আইএমএ’র রাজ্য সম্পাদক ডাঃ শান্তনু সেন বলেন, বৃহস্পতিবার সব কর্পোরেশন ও পুরসভার প্রশাসকদের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক হবে। জেলার আইএমএ কর্তারাও সেখানে থাকবেন। সরকার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের দিয়ে এলাকাভিত্তিক ডাক্তারদের প্রশিক্ষণ ও সার্টিফিকেট দেবে। আগামী এক সপ্তাহে সেই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করছি। তারপর বিভিন্ন পাড়ার ডাক্তারদের নম্বর কলকাতা ও জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। রাজ্য সরকারের করোনা হেল্পলাইন নম্বরে কেউ ফোন করলে সেইসব ডাক্তারদের ফোন নম্বর দেওয়া হবে। পাড়ার ডাক্তারদের ফি ২০০-৩০০ টাকার মধ্যে থাকবে। কোনও চিকিৎসক ফি নিতে না চাইলে, তাঁকে স্বাগত। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, আমরা চাইছি, হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীরা যেন কোনও না কোনও চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকেন।