পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধিকে মাথায় রেখেই দুর্গা পুজোর আয়োজন করেছে কলকাতা থেকে জেলার পুজো কমিটিগুলি। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণকে সামনে রেখেই পুজোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার সল্টলেকের পূর্বাঞ্চলীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (ইজেডসিসি) বিজেপি আয়োজিত দুর্গোৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিল্লি থেকে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে বক্তব্য রাখেন। তাঁর বক্তব্যের একাধিক অংশে ছিল বাংলা ভাষা। বাংলার মণীষীদের স্মরণ করে কেন্দ্রের উন্নয়নকে তুলে ধরেছেন তিনি। আর এটাকেই হাতিয়ার করে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর ছড়িয়েছে বিরোধীরা। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘বিষয়টি আমার হাস্যকর লেগেছে। এর আগে কখনও প্রধানমন্ত্রী বাংলায় বক্তৃতা দেননি। সামনে বিধানসভা নির্বাচন বলে তাঁকে এটা করতে হল! ২০১৪-১৯ সাল পর্যন্ত বাংলায় বক্তব্য রেখেছেন বা বাঙালিদের জন্য কিছু করেছেন, এমনটা দেখা যায়নি।’ তাঁর সংযোজন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল নির্বাচনকেন্দ্রিক। অথচ পরিযায়ী শ্রমিক, কর্মসংস্থান করোনা ভ্যাকসিনের কোনও উল্লেখ নেই। এই বক্তব্য বাঙালিদের মন ছোঁয়নি।’
মা দুর্গার বোধনপর্বে রাজনৈতিক ভাষণ নিয়ে বিজেপিকে বিঁধেছেন বামফ্রন্টের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। তাঁর বক্তব্য, ‘বাংলা ও বাঙালি প্রীতি দেখাচ্ছে বিজেপি। কারণ তারা জানে, বাংলা ও বাঙালি বিরোধী তারা। সেই কারণে দুর্গাপুজার মন্ডপকে রাজনৈতিক ভাষণের মঞ্চ করা হল। পুজোর কৌলিন্যকে ম্লান করেছে বিজেপি।’ কেন্দ্রের সরকার কী কী কাজ করেছে তার বিবরণ কেন পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হল, তা নিয়েও কটাক্ষ করেছে সিপিএম।
একই সুর কংগ্রেসেরও। রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘শারদোৎসবের আঙিনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কালিমালিপ্ত করে বাংলার কৃষ্টি ও সংস্কৃতির প্রকারান্তরে অপমান করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপির আমলে নোট বন্দি থেকে কৃষক-শ্রমিকের অবস্থা এবং অর্থনৈতিক দুরবস্থার কথা গোটা দেশ জানে। কেন্দ্রের কাছে আর কিছু শোনার প্রয়োজন নেই।’