কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ডেঙ্গু ও করোনার সঙ্কটকে নিয়েই শুরু হয়েছে এবারের পুজো মরশুম। ফলে, সুডার কর্তারা পুজোর মধ্যে কোনও সমস্যা হতে পারে এই আশঙ্কা থেকে প্রত্যেক পুরসভাকে বিশেষ র্যাপিড রেসপন্স টিম তৈরি করতে বলেছে। পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে পুরদপ্তর। শুধু স্বাস্থ্যকেন্দ্র খোলা রাখাই নয়, সেখানে পর্যাপ্ত ওষুধ, যেখানে ডেঙ্গু পরীক্ষা হয় সেখানে কিট মজুতের পরামর্শ দিয়েছে সুডা। সুডার ডিরেক্টর শান্তুনু মুখোপাধ্যায় ২১ অক্টোবর পুজোকে কেন্দ্র করে ওই নির্দেশিকা জারি করেছেন। কলকাতা-সহ রাজ্যের সমস্ত কর্পোরেশন ও সমস্ত পুরসভাগুলিকে ওই নজরদারি ও প্রস্তুতির জন্য বলা হয়েছে। পুজোর দিন ও পুজো পরবর্তী পদক্ষেপ করার জন্য পৃথক নির্দেশনামা দেওয়া হয়েছে।
সুডার নির্দেশিকা অনুসারে, পুজোর চারদিন বিশেষভাবে পতঙ্গবাহিত রোগ নিয়ে প্রচার করা হবে। প্রত্যেক পুরসভাকে একটি জরুরিকালীন যোগাযোগের নম্বর বাসিন্দাদের দিয়ে দিতে বলা হয়েছে। পুজো মণ্ডপের কারণে জল বা আবর্জনা জমার সমস্যা যাতে না হয় তার প্রাত্যহিক নজরদারি করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে প্রতিদিনের আবর্জনা সাফাইয়ের কাজে যাতে ত্রুটি না হয় তা নিয়ে সতর্ক করেছে সুডা। অন্যদিকে, পুজো পরবর্তী পর্বেই সমস্যা বেশি হবে এমনটাই আঁচ করছে সুডা। সেই কারণে পুজো মিটলেই বাড়ি বাড়ি জ্বরের রোগী খোঁজ করার জন্য সমীক্ষক দল পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুজো মণ্ডপের আশেপাশের এলাকাগুলিকেই বারবার সমীক্ষা করতে বলা হয়েছে। যদি জ্বরের রোগী কোথাও মেলে তবে আশেপাশের অন্তত ৫০টি বাড়িকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করে নজর রাখার পরামর্শ সুডা কর্তারা দিয়েছেন।
পুজো ও তার পরবর্তী পর্বে পুর এলাকাগুলিকে কার্যত নজরদারির ঘেরাটোপে এনে ফেলতে চাইছে পুরদপ্তর। ডেঙ্গু সামাল দিতে সচেতনতার প্রয়াস থাকলেও এবারের তৎপরতা ভিন্ন মাত্রা বহন করছে।