গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এদিন গুরুংয়ের নয়া অবস্থান নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেসের বর্ষীয়ান ম্যানেজার আব্দুল মান্নান বলেন, পুজোর মুখে এ এক নতুন নাটক। খুন, দেশদ্রোহিতাসহ একাধিক মারাত্মক অভিযোগে যাঁর বিরুদ্ধে রাজ্যের পুলিসের মামলা রয়েছে, তাঁর সমর্থন কীভাবে শাসক দল নেবে, তা নিয়ে মানুষ প্রশ্ন তুলবেই। তাছাড়া পৃথক রাজ্যের দাবি থেকে একচুলও সরে আসেননি গুরুং। সে কথা তিনি জোর গলায় বলেছেন এদিনও। তাই এব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রীকে তাঁর ও শাসক দলের অবস্থানও স্পষ্ট করতে হবে। আসলে পাহাড়সহ উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের পায়ের তলা থেকে জমি সরে গিয়েছে। এখন তাই গুরুংদের মতো খড়কুটো আঁকড়ে ধরে দলের অস্তিত্ব বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন উনি। তাই গোপন পরিকল্পনা মোতাবেক এই নতুন নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র এদিন বলেন, রাজ্য ভাগের পক্ষে আমরা কখনও ছিলাম না। আজও নই। কিন্তু পাহাড়ের মানুষের হাতে সর্বাধিক শাসন ক্ষমতা তুলে দেওয়ার পক্ষে আমরা। সেই কারণে বাম আমলে আমরা সংবিধানের আওতায় থেকে ষষ্ঠ তফসিলসহ সর্বোচ্চ স্বশাসনের জন্য উদ্যোগী হয়েছিলাম। দিল্লিতে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে এনিয়ে একাধিকবার বৈঠক করে বিষয়টি চূড়ান্তও হয়েছিল। কিন্তু সেই উদ্যোগ ভেস্তে দিতে গুরুংরা পাহাড়ে অশান্তি তৈরি করেছিলেন। সে সময় তাঁকে সাহায্য করেছিল তৃণমূল। সেজন্য উনি মুখ্যমন্ত্রীকে একদা ‘মা’ বলে সম্বোধনও করেছিলেন। মাঝে তাল কেটে যাওয়ায় গুরুং বিজেপি’র সঙ্গে চলে যান। এখন আবার নিজের স্বার্থে শাসক দলের ছত্রছায়ায় আসতে চাইছেন। তবে বাংলার মানুষ এই ধরনের বোঝাপড়ার কারণ বোঝে।
(বাঁদিকে) বুধবার সল্টলেকের গোর্খাভবনের বাইরে গাড়িতে বসে বিমল গুরুং। (ডানদিকে) সন্ধ্যায় কলকাতার একটি হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলনে বিমলের সঙ্গে রোশন গিরি।-নিজস্ব চিত্র