কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
গত কয়েক বছর ধরেই গ্রাহকদের ডিজিটাল রেশন কার্ড বিলি করা নিয়ে একটা জটিলতা চলছিল। এক সময়ে পঞ্চায়েত ও পুরসভার মাধ্যমে কার্ড পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তা পুরোপুরি ফলপ্রসূ হয়নি। কারণ বহু কার্ড বণ্টনই করা যায়নি। এরপর অবণ্টিত কার্ডগুলি পুরসভা ও পঞ্চায়েতগুলির হাত থেকে ফেরত নিয়ে নেয় দপ্তর। এদিকে, বহু মানুষের অভিযোগ ছিল, তাঁরা এক বা একাধিকবার আবেদন করলেও ডিজিটাল রেশন কার্ড পাচ্ছেন না। এই পরিস্থিতিতে খাদ্যদপ্তর সিদ্ধান্ত নেয়, গ্রাহকের ফর্মে যে ঠিকানা রয়েছে, সেখানে স্পিড পোস্টের মাধ্যমে কার্ড পাঠানো হবে। এর জন্য অবশ্য অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে দপ্তরের।
এদিকে, ডাকবিভাগও বেশ কয়েকজন গ্রাহকদের ডিজিটাল কার্ড নিয়ে বিপাকে পড়েছে। তারা সেগুলি আবার খাদ্যদপ্তরের কাছেই পাঠিয়ে দিয়েছে। দপ্তর তার ইন্সপেক্টরদের বলেছে, আবেদনের ফর্মে যে মোবাইল নম্বর রয়েছে, সেখানে মেসেজ পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে খাদ্যদপ্তরে ডেকে কারণ জানতে চাওয়া হবে। যে গ্রাহকরা তাতেও সাড়া দেবেন না, তাঁদের কার্ডগুলি ‘অস্তিত্বহীন’ ধরে নিয়েই বাতিল করা হবে। যাঁরা দপ্তরে কার্ড নিতে আসবেন, তাঁদের ঠিকানা যাচাই করা হবে। যদি দেখা যায়, ঠিকানা ঠিক আছে, তাহলে ফের স্পিড পোস্টের মাধ্যমে তা পাঠানো হবে। আর ঠিকানা ভুল থাকলে তা সংশোধন করে নতুন করে কার্ড ছাপিয়ে তা স্পিড পোস্ট করে পাঠানো হবে।
খাদ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউন পরবর্তী সময়ে প্রায় ২৭ লক্ষ ডিজিটাল রেশন কার্ড গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। লকডাউন যখন ঘোষণা হয়, তখন কার্ড অনুমোদন হওয়া সত্ত্বেও হাতে পাননি প্রায় ৬৫ লক্ষ গ্রাহক। তাঁদের জন্য ফুড কুপন ইস্যু করা হয়। এখনও যাঁরা ডিজিটাল কার্ড হাতে পাননি, তাঁদের জন্য অক্টোবর মাস থেকে প্রায় বার কোড যুক্ত ৪৬ লক্ষ কুপন নতুন করে ইস্যু করা হয়েছে। ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত ওই কুপন দেখিয়ে বিনা পয়সায় চাল-গম মিলবে।