পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আলুর দাম নাকি কিছুটা স্থিতিশীল, বলছেন আলু ব্যবসায়ীরা। খুচরো বাজারে জ্যোতি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকা কেজি দরে। চন্দ্রমুখী আরেকটু দামি। হিমঘর থেকে জ্যোতি আলু বের হওয়ার পর দাম উঠছে ২৬ টাকার আশপাশে। ব্যবসায়ীদের সংগঠনের দাবি, খুচরো বাজারে এখন ৩০-৩১ টাকায় প্রতি কেজি আলু বিক্রি হওয়া উচিত। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি লালু মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আলুর দাম আর বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা আর নেই বললেই চলে। বরং কিছুটা দাম কমতে পারে। ব্যবসায়ী মহলের দাবি, রাজ্যের হিমঘরগুলিতে এখনও প্রায় ১৯ লক্ষ টন আলু মজুত রয়েছে। ওই আলু নভেম্বর মাসের মধ্যে বের করতে হবে। ফলে হিমঘরের আলু বের হতে শুরু করে দিয়েছে। জানা গিয়েছে, রাঁচির নতুন আলু বাজারে শীঘ্রই চলে আসবে। উত্তর ভারতের আলুও এবার কিছুটা আগে বাজারে ঢুকবে। তখন খোলা বাজারে আলুর দাম অনেকটাই কমে আসবে। বাজারে জোগান বাড়াতে এবং দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হিমঘরে মজুত হওয়া ৪২ হাজার টন আলু বের করা হয়েছে। ওই আলু পাইকারি বাজারে কেজিতে ২২ টাকা দাম হবে। খুচরো বাজারে তা ২৫ টাকায় মিলবে। নির্দেশিকা জারি করে এমনটাই জানিয়েছে কৃষি বিপণন দপ্তর। কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায় সুফল বাংলার স্টল ছাড়াও আরও কিছু জায়গায় বিক্রির ব্যবস্থা হচ্ছে।
তবে পেঁয়াজের দাম যে হারে বাড়ছে, তাতে কপালের ভাঁজ চওড়া হচ্ছে। সাম্প্রতিক বন্যায় দক্ষিণ ভারতে পেঁয়াজ চাষে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় এখন ভরসা বলতে মহারাষ্ট্র। গোটা দেশের চাহিদা একা মেটাচ্ছে মহারাষ্ট্র। স্বাভাবিকভাবেই চাপ বেড়েছে তাদের উপর। কমছে জোগান। বাড়ছে দাম। কেন্দ্রীয় সরকার বিদেশে রপ্তানি নিষিদ্ধ করলেও পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না। মহারাষ্ট্রে এই সময় নতুন পেঁয়াজ ওঠে। এখন বৃষ্টিতে তা ক্ষতিগ্রস্ত হলে পরিস্থিতি আরও বেগতিক হবে বলে ব্যবসায়ীদের ধারণা।
সব্জির চড়া দামের জন্য মূলত অতিরিক্ত বৃষ্টি ও লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকাকে দায়ী করা হচ্ছে। সরকারি টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে মনে করেন, লোকাল ট্রেন চললে প্রতি কেজি সব্জির দাম অন্তত ১০ টাকা কমবে। কলকাতা ও বিভিন্ন জেলার বাজারে সব্জির জোগান এখন নির্ভর করছে লরি বা ম্যাটাডোরের উপর। ফলে পরিবহণ খরচ বেড়েছে। যা প্রভাব পড়ছে খোলা বাজারে। আগে তা লোকাল ট্রেনের ভেন্ডার কামরায় করে আসত বলে দাম কিছুটা কম পড়ত। ঘূর্ণিঝড় উম-পুনে সব্জির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পরবর্তীকালে চাষ শুরু করতেও দেরি হয়েছে। তবে বর্ষার কারণে কোথাও কোথাও চাষ করতে সমস্যা হয়েছে। অতিবৃষ্টি না হলে সব্জির দাম ধীরে ধীরে কিছুটা নাগালের মধ্যে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বাজারে প্রচুর ফুলকপি ও বাঁধাকপিও এসেছে। তবে সে সবের দাম বেশ চড়া।