কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
গত সপ্তাহে বুধ থেকে শুক্রবার ২০১৮-২০ শিক্ষাবর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা ছিল। পুরোটাই হয়েছে অনলাইনে প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে এবং উত্তরপত্র জমা নিয়ে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এক আধিকারিক বলেন, উত্তরপত্র জমা নেওয়ার জন্য দু’টি পোর্টাল রাখা হয়েছিল। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের পরীক্ষায় উত্তরপত্র জমা নেওয়া নিয়ে বেশ কিছু সমস্যার কথা সংবাদপত্রে পড়েছি। তা নিয়ে বেশ চিন্তিতই ছিলাম। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, এক্ষেত্রে ছবিটা উল্টো। মোট প্রায় ৪০ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩৫ হাজারের বেশি প্রার্থীর উত্তরপত্র সরাসরি পোর্টালে জমা পড়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাঁরা স্মার্টফোন ব্যবহার করে উত্তরপত্র জমা দিয়েছেন। কিছু ক্ষেত্রে ল্যাপটপ ব্যবহার করে স্ক্যান করা উত্তরপত্রও এসেছে। বাকি মাত্র সাড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার পরীক্ষার্থী নিজের কলেজের সাহায্য নিয়েছেন উত্তরপত্র পাঠানোর জন্য। এটা একটি খুবই ইতিবাচক ইঙ্গিত। এর ফলে অক্টোবরের মধ্যেই ফলপ্রকাশ করে দেওয়ার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। এর পাশাপাশি পুজোর পর থেকেই প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের জন্য অনলাইনে ক্লাস শুরু করে দেওয়া হবে।
প্রায় ৪৬ হাজার পড়ুয়াকে অনলাইনে ক্লাস করানোর জন্য আলাদা স্টুডিও সেটআপ তৈরি করেছে পর্ষদ। নিউটাউনে সেই পরিকাঠামো ব্যবহার করে একইসঙ্গে সব ছাত্রছাত্রীকে ক্লাস করাতে পারবেন শিক্ষকরা। স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেটের লভ্যতা নিয়ে অবশ্য এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু পর্ষদের দাবি, বাস্তব অন্য কথা বলছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের দ্বাদশ উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীরা যাতে নিখরচায় (ইন্টারনেট চার্জ ছাড়া) ডিএলএডের আবেদন করতে পারে, তার জন্য একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে পর্ষদ চুক্তি করেছিল। সেই সংস্থার রাজ্যজুড়ে প্রায় ১৮ হাজার কেন্দ্র রয়েছে। পর্ষদের ওয়েবসাইটে সেগুলির ঠিকানা এবং ম্যাপ দেওয়া ছিল। কেউ চাইলেই সেখানে গিয়ে অনলাইন আবেদন করতে পারতেন। কিন্তু বাস্তবে সেসব কেন্দ্রগুলিতে আবেদনকারীরা গিয়েছেন খুবই কম সংখ্যায়। নিজস্ব ফোন বা ল্যাপটপ ব্যবহার করেই হয়েছে অধিকাংশ আবেদন। একটা সময় আবেদনের হার ছিল গতবারের তুলনায় খুবই হতাশাব্যঞ্জক। কিন্তু ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় দেড় লক্ষের কাছাকাছি আবেদন জমা পড়েছে বলে পর্ষদের দাবি।