গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
তবে শ্রমদপ্তর সূত্রের খবর, ১৪ তারিখ জারি হওয়া কমিশনারের ওই নির্দেশ থেকে স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে যে, মোদি সরকারের তৈরি করা এই চারটি কোড হুবহু অনুসরণ করতে নাও পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন। কারণ, শ্রমিকদের থেকে এই কোড মালিকপক্ষকে অনেক বেশি সুবিধা দিয়েছে—মূলত এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন এই ইস্যুতে আগামী ২৬ নভেম্বর দেশ জুড়ে সাধারণ ধর্মঘট পর্যন্ত ডেকেছে। ধর্মঘটে না থাকলেও, শাসক দলের শ্রমিক সংগঠনও এই বিরোধিতাকে পূর্ণ সমর্থন করেছে। সামনেই আবার বিধানসভার ভোট। এই অবস্থায় বাংলায় এই কোডগুলিকে পুরোপুরি মান্যতা দিলে তাতে রাজ্য সরকারের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে পড়বে। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় শ্রমসচিব অরূপ চন্দ্র দিন কয়েক আগে কোডগুলি নিয়ে বিধি তৈরির জন্য সব রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছেন। তবে আইন হিসেবে লাগু হওয়ার পরই নবনিযুক্ত মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এনিয়ে শ্রমদপ্তরেরর শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে একবার প্রাথমিক কথাবার্তা বলেছেন। সেই আলোচনা সূত্রেই দপ্তরের অফিসাররা বলছেন, শ্রম বিষয়টি যুগ্ম তালিকায় থাকায় কোডের কিছু বিষয়ে নবান্ন মনে করলে, রাজ্যের জন্য সংশোধনী আইন পাশ করাতে পারে বিধানসভায়। তাই বিধি তৈরির পাশাপাশি রাজ্যের জন্য এই ধরনের সংশোধনী আইন কী বিষয়গুলিতে আনা দরকার, তাও খতিয়ে দেখবেন চারটি টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে পুজোর ছুটির পর টাস্ক ফোর্সের বৈঠক ডাকবেন কমিশনার।