গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
উৎসব উপলক্ষে সব ধর্মের মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনা পরিস্থিতিতে মাস্ক পড়ে, প্রয়োজনে গ্লাভস ব্যবহার করে পুজো মণ্ডপে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। পুজো কমিটিগুলির কাছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করেছেন। দূরত্ব বজায় রাখার জন্য মণ্ডপ থেকে মাইকে ঘোষণা এবং সামর্থ্য থাকলে মাস্ক-স্যানিটাইজার দিতে বলেছেন। তাঁর কথায়, দিল্লিতে একটিমাত্র পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে তাও দেওয়া হয়নি। আমরা এখানে পুজো বন্ধ করব না। কিন্তু সংক্রমণ রুখতে প্রত্যেকে যথাযথ নিয়ম কানুন, প্রোটোকল মেনে চলুন। এবার নবান্ন থেকে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে পুজোর উদ্বোধন করবেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। ১৫ অক্টোবর উত্তর কলকাতার পুজোর উদ্বোধন করবেন। ১৬ তারিখ রাখা হয়েছে বেহালা ও যাদবপুর এলাকার পুজোর উদ্বোধনের জন্য। আর ১৭ তারিখে দক্ষিণ কলকাতার পুজোর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকেল পাঁচটা থেকে উদ্বোধন পর্ব চলবে।
করোনা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে নবান্নে বলেছেন, একই পরিবারের একজনের করোনা হলে সেই পরিবারের চার থেকে পাঁচ জন আক্রান্ত হচ্ছেন। গোষ্ঠী সংক্রমণ নিশ্চয়ই হচ্ছে। গ্রিন জোনে লরি যাতায়াত করছে। তাছাড়া আঞ্চলিক স্তরে, রাজ্য সীমানা এবং জাতীয় সীমানা দিয়ে প্রচুর লরি আসছে। স্পেশাল ট্রেন চলছে। প্লেন চলছে। বহু মানুষের যাতায়াত বেড়ে গিয়েছে। আমি অবশ্যই বলব, দূরত্ব বজায় রাখুন। বিজয় পর্বে এবার পায়ে হাত না দিয়ে হাত জোড় করে নমস্কার জানানোর অনুরোধ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার লেখা ও সুর দেওয়া ৭টি গান সংকলিত ‘সৃষ্টি’ অ্যালবামের উদ্বোধন হয়েছে নজরুল মঞ্চে। বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমকে মমতা বলেছেন, উত্তরের সাথে দক্ষিণের প্রতিযোগিতা অনেক সময় একটা দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করে দেয়। আপনারা এবার দেখান, কারা সবথেকে বেশি কোভিড প্রোটোকল মেনে চলছে।
গীতিকার ও সুরকার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাতটি গানের সংকলন ‘সৃষ্টি’ অ্যালবামের প্রকাশ হল সোমবার নজরুল মঞ্চে। -নিজস্ব চিত্র