বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
আগামী বিধানসভা নির্বাচন অধীরের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। বামেদের সঙ্গে এবার আগাম জোট তৈরি করে বিজেপি-তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করার ডাক দিয়েছেন তিনি। তাই সভাপতি হিসেবে অধীর নিজে এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশ নির্বাচনী কমিটির প্রধান হয়েছেন পদাধিকারবলে। এই কমিটিতে বর্ষীয়ান সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য ও আব্দুল মান্নানসহ ১৭জন প্রথম সারির নেতানেত্রী স্থান পেয়েছেন। তার মধ্যে সোমেনপন্থী বেশ কয়েকজন রয়েছেন। যদিও উল্লেখযোগ্য মুখ হিসেবে অমিতাভ চক্রবর্তী ও সন্তোষ পাঠকের ঠাঁই হয়নি এই কমিটিতে। তবে মান্নানকে চেয়ারম্যান ও বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক অমিতাভকে আহ্বায়ক করে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্তাহার কমিটির দায়িত্ব দিয়েছে হাইকমান্ড। একইভাবে সন্তোষকে করা হয়েছে কোষাধ্যক্ষ। সামগ্রিকভাবে কমিটি নিয়ে এদিন মুখ খোলেননি মান্নান। প্রদেশ সভাপতির পদে অপর দাবিদার প্রদীপবাবু নতুন কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে সর্বতোভাবে সাহায্য করার অশ্বাস দিয়েছেন।
বিগত প্রদেশ কমিটিতে থাকা কার্যকরী সভাপতির পদ এবার তুলে দিয়েছেন এআইসিসি। পরিবর্তে অধীরের পরামর্শমতো সর্দার আমজাদ আলি, সুখবিলাস বর্মা, আবদুস সাত্তার, মায়া ঘোষ, অসিত মিত্র প্রমুখের মতো ১১জন নেতানেত্রীকে সহ-সভাপতি করা হয়েছে। অধীরের বিশ্বস্ত অনুগামী মনোজ চক্রবর্তী, ঋজু ঘোষালদের পাশাপাশি রোহন মিত্র, কৃষ্ণা দেবনাথদের মতো চিহ্নিত সোমেনপন্থীদের নিয়ে মোট ১৪জনের সাধারণ সম্পাদকের টিম তৈরি হয়েছে। যাবতীয় বিষয়ে দলের অন্দরে ও ভিতরে সমন্বয় সাধনের কাজে প্রদীপবাবুর নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে তিন জনের পৃথক কমিটি। একইভাবে প্রচারের বিষয়টি দেখভালের দায়িত্বে দুই সদস্যের কমিটির প্রধান করা হয়েছে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পুত্র অভিজিৎকে। জেলা কমিটির সভাপতি ও কার্যকরী সভাপতির ক্ষেত্রে অবশ্য অনেক অদলবদল করা হয়েছে। এভাবে ভারসাম্য রক্ষার নতুন কমিটি ঘোষিত হওয়ার পর সব পদাধিকারী ঐক্যবদ্ধভাবে দলের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়বেন—অধীরের আশা তেমনই।