বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ই-অ্যাডমিট কার্ড হাতে পাওয়ার পর ওই ভুল নজরে আসে কুলদীপের। সেই ভুল শোধরানোর জন্য তিনি কল্যাণী আদালত এফিডেফিট করেন এবং তা শারীরিক পরীক্ষার সময় জমা করেন। কিন্তু তাঁর সেই হলফনামা জমা নেওয়া হলেও কর্তৃপক্ষ প্রাপ্তি স্বীকার করে কোনও রসিদ দেয়নি। পরবর্তী মেডিক্যাল পরীক্ষাতেও ২৩ বছরের কুলদীপ উতরে যান। কিন্তু, এই বছরের ১৩ মার্চ তাঁকে জানানো হয়, জন্ম তারিখে ভুল থাকায়, তাঁর প্রার্থীপদ বাতিল করা হয়েছে। সেইসূত্রে এই মামলায় হাইকোর্ট জানায়, এই কঠিন সময়ে স্টাফ সিলেকশন কমিশনকে যুক্তিসম্মত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কিন্তু, কমিশন জানায়, ভুল প্রার্থীই করেছেন। তাই তাদের কিছু করার নেই। এমনকী সেই ভুল সংশোধনেরও সুযোগ নেই।
পরিস্থিতির বদল না হওয়ায় আবার হাইকোর্টে আসেন কুলদীপ। এবার আদালত রায়ে দিয়ে বলেছে, মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ডে তাঁর জন্মতারিখ ইংরেজিতে ‘thirtieth’ লেখা আছে। যা ‘thirteenth’ বলে ভুল করা অস্বাভাবিক নয়। কর্তৃপক্ষ মনে করছে, এই ভুল ইচ্ছাকৃত ও সচেতনভাবেই করা হয়েছে। কিন্তু, এমন দাবি অযৌক্তিক। যিনি চাকরি পেতে চান, তিনি ইচ্ছে করে আবেদনপত্রে ভুল তথ্য দেবেন! অথচ, সেখানে জন্মমাস ও বছর একই আছে। হাইকোর্ট আগে কর্তৃপক্ষকে যুক্তিসম্মত সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিল। কিন্তু, সেই নির্দেশের মর্মার্থ তারা বুঝতে ব্যর্থ। উল্টে তারা বলেছে, যে তারিখ লেখা হয়েছে, তার স্বপক্ষে প্রার্থী কোনও তথ্য দিতে পারেননি। ভুল করে দেওয়া তথ্য প্রার্থী কীভাবে প্রমাণ করবেন! এই অভিমত দিয়ে কমিশনের সিদ্ধান্ত খারিজ করলেও বিচারপতি তাঁর রায়ে বলেছেন, যে প্রার্থী সরকারি চাকরির প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে চান, ফর্ম পূরণের সময় তাঁকে অনেক বেশি যত্নবান ও সতর্ক থাকতে হয়। কিন্তু, এটাও দেখার যে, এক্ষেত্রে প্রার্থীর কোনও অসৎ উদ্দেশ্য নেই। এমন তথ্যভ্রান্তির জন্যই চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।