গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত লোকসভা ভোটে নাগরিকত্বের তাস খেলেই বনগাঁ লোকসভায় বাজিমাত করেছিল বিজেপি। মতুয়া ভোট ব্যাঙ্কের সিংহভাগ ঝুলিতে ভরে তৃণমূল প্রার্থীকে পরাজিত করেছিলেন শান্তনু ঠাকুর। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রবল বিতর্কের মধ্যে নাগরিকত্ব আইন লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাশ হয়েছিল। রাষ্ট্রপতির সম্মতিতে তা আইনেও পরিণত হয়েছে। কিন্তু এরপর ন’মাস কেটে গেলেও, নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। ফলে বিভিন্ন সভা ও সমাবেশে গেলে মতুয়ারা শান্তনুবাবুর কাছে এই বিষয়ে প্রশ্ন করছেন। বিড়ম্বনায় পড়া শান্তনুবাবুও সঠিক কোনও উত্তর দিতে পারছেন না। আগামী বিধানসভা ভোটের আগে নাগরিকত্ব আইন কার্যকর না হলে, তাঁদের বেকায়দায় পড়তে হবে বলে মনে করেন সাংসদের ঘনিষ্ঠরা। রবিবার বারাসতের নেতাজি পল্লিতে মতুয়া মহাসংঘের এক সম্মেলনে এসে শান্তনুবাবু বলেন, এখনও নাগরিকত্ব আইন কার্যকর না হওয়ায় মতুয়ারা ক্ষিপ্ত। আমাকে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। শুধু এরাজ্য নয়, আসাম বাদ দিয়ে অন্য কোনও রাজ্যে এই আইন কার্যকর হয়নি। সকলেই আমার কাছে জানতে চাইছেন। কিন্তু আমার কাছে এর কোনও উত্তর নেই। বিল পাশ হওয়ার পর তা কার্যকর করতে কেন্দ্রের হাতে অনেক সময় ছিল। এরপরও তা কার্যকর না হলে, মতুয়ারা ঠিক করবেন তাঁরা কোন পথে যাবেন। এই বিষয়ে রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, দেরিতে হলেও শান্তনু ঠাকুর ঠিকটা বুঝতে পেরেছেন। বিজেপির নাগরিকত্ব দেওয়ার আশ্বাস, স্রেফ ভাঁওতা ছাড়া কিছু নয়। বিজেপি মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল শুধুমাত্র ভোটের জন্য। মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ এখন বুঝতে পেরেছেন বিজেপি তাঁদের নিয়ে রাজনীতিই করছে!