বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
কেন রোহিঙ্গাদের টার্গেট করেছিল আল কায়েদা? তদন্তকারী অফিসারদের কথায়, সীমান্ত পেরিয়ে মুর্শিদাবাদ ও মালদহে রোহিঙ্গারা ঢুকেছে। তারা ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে এই দুই জেলায়। বেশিরভাগ রোহিঙ্গাদের কোনও কাজকর্ম নেই। ফলে তাদের মধ্যে একটা সন্ত্রাসবাদী মানসিকতা তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। এই সুযোগটাকেই কাজে লাগাতে চেয়েছিল মুর্শিদরা। রোহিঙ্গাদের নিয়ে ‘স্লিপার সেল’-এর সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছিল আল কায়েদা।
রাজ্যের কোথায় কোথায় রোহিঙ্গারা রয়েছে, তা জানত সুজাউদ্দিন ও মুর্শিদ। মূলত, মুর্শিদের নির্দেশে তাদের শিবিরে যাতায়াত শুরু করে মনিরুল ও সুজাউদ্দিন। শুরু হয় মগজ ধোলাই। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের পাঠও শেখাতে থাকে জঙ্গিরা। শুধু তাই নয়, রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করতে আর্থিক সাহায্য চালু করে মুর্শিদ। এনআইএ সূত্রে জানা যাচ্ছে, তারা বিগত তিন বছরে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ত্রাণ দিয়েছে বিভিন্ন শিবিরে। যার মধ্যে নগদও ছিল বলে তদন্তে উঠে আসছে। নিজেদের আর্থিক নিরাপত্তার কথা ভেবে রোহিঙ্গারা ধীরে ধীরে আল কায়েদাতে ভিড়তে শুরু করেছিল। মুর্শিদ ও সুজাউদ্দিন সহ অন্যদের জেরা করে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।
এনআইএ সূত্রে খবর, দলে ভিড়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের জেলায় পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল মুর্শিদদের। নাশকতার কাজ এদের দিয়ে করাতে চেয়েছিল তারা। যাতে সহজে বোঝা না যায় কোন সংগঠন এই কাজ করেছে। বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের ২০ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য দিয়ে এসেছিল মুর্শিদ। তাদের নাশকতার কাজে লাগাতে এই সাহায্য বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। বাংলাদেশের এক আল কায়েদা নেতাকে নিয়ে মুর্শিদ সেখানকার রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বৈঠক করে। দুই পারের রোহিঙ্গারা যাতে অবাধে সীমান্ত পারাপার করতে পারে, সেজন্য পরিচয়পত্র তৈরির কাজও শুরু করেছিল জঙ্গিরা। এরই পাশাপাশি, মুর্শিদ কেরলে থাকা রোহিঙ্গাদেরও দলে টানতে শুরু করে বলে তদন্তে জেনেছেন গোয়েন্দারা।
মুর্শিদদের এই টাকার উৎস সম্পর্কে কিছু তথ্য এসেছে আধিকারিকদের কাছে। জানা গিয়েছে, আল কায়েদার তহবিলে বিপুল পরিমাণ দানের টাকা আসছিল। মুর্শিদাবাদ, মালদহ সহ বিভিন্ন এলাকায় তাদের প্রতি ‘সহানুভূতিশীল’ ব্যবসায়ীদের একটা বড় অংশও এই টাকা দান করছিল। তারা কারা, এই নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে এনআইএ।