বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
গোয়েন্দাদের অনুমান, পরিকল্পনা করেই জঙ্গিরা সল্প অঙ্কের টাকা দেওয়ার কৌশল নিয়েছিল। কারণ এক সঙ্গে বেশি টাকা লেনদেন হলেই তা খুব সহজেই তাদের নজরে চলে আসতে পারত। এনআইএ দু’জনেরই পাশবুক বাজেয়াপ্ত করেছে। কতদিন ধরে তাদের অ্যাকাউন্টে এভাবে টাকা আসছিল, তা তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে, ধৃত জঙ্গিরা ফান্ড সংগ্রহ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিল। তারা স্থানীয়ভাবেও যেমন টাকা তুলছিল, তেমনই অন্য রাজ্য থেকেও অ্যাকাউন্টে টাকা আসছিল। তবে কী কারণে তারা টাকা সংগ্রহ করছিল তা স্পষ্ট নয়। আল মামুনের এক প্রতিবেশী বলেন, ও একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে চাঁদা তুলছিল। তারজন্য সে রসিদ ছাপিয়েছিল। সেই রসিদ কেরলে পাঠিয়েছিল। সেখান থেকেও তার অ্যাকাউন্টে টাকা আসতে পারে। কত টাকা সে তুলেছিল, তার হিসেবও গ্রামের কারও কাছে নেই। আতিউরের এক দাদা বলেন, ভাই টিউশনি করত। ও হয়তো সেই টাকাই জমিয়ে রেখেছিল। তবে এনআইএ তাকে গ্রেপ্তার করার সময় বারবার অ্যাকাউন্টের বিষয়টি জানতে চাইছিল। আমাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। ভাই নিজের পড়াশোনার খরচ নিজেই জোগাড় করত। টাকার জন্য সংসার চালাতে আমাদের সমস্যা হচ্ছে। ওর অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়লে আমাদের সংসার চালাতে অসুবিধা হতো না।
গোয়েন্দারা মনে করছেন, জঙ্গিরা ফান্ডের টাকা কোনওদিনই ব্যক্তিগত কাজে খরচ করে না। তারা সংগঠনের জন্যই ব্যয় করে। কোনও একটি বড় ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। কোথাও হামলা চালাতে গেলে তার জন্য বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করতে হয়। অস্ত্র বা বিস্ফোরক মজুত করা যথেষ্ট ব্যয় সাপেক্ষ। এই ধরনের কোনও কাজের জন্যই ধৃতরা টাকা সংগ্রহ করে থাকতে পারে বলেই আধিকারিকরা মনে করছেন।