পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রাজ্যে সাড়ে ৩৭ হাজার পুজো হয়। কলকাতায় সংখ্যাটা আড়াই হাজার। সব পুজো প্যান্ডেলের জন্য এদিন একাধিক নিয়ম নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে দিয়েছেন পুজো উপহার হিসেবে একের পর এক ছাড়। দমকল, পুরসভা বা পঞ্চায়েত ইত্যাদি যাবতীয় প্রশাসনিক অনুমতির জন্য কোনও ফি দিতে হবে না পুজো উদ্যোক্তাদের। পুজোর দিনগুলির জন্য নেওয়া বিদ্যুৎ সংযোগের বিলে ৫০ শতাংশ ছাড় দেবে সিইএসসি এবং রাজ্য বণ্টন সংস্থা। পুজোর অনুমতি মিলবে অনলাইনে ‘আসান’-এর মাধ্যমে। ২ অক্টোবর থেকে এই ব্যবস্থা চালু হবে। এ প্রসঙ্গে পুলিসের উদ্দেশে মমতা বলেন, ১০ বছরের বেশি পুজো হয়ে গিয়েছে, সেই কমিটিদের এবার অনুমতি দিয়ে দিতে হবে। তবে বিসর্জনে বেশি ভিড় করা যাবে না।
কমিটিগুলিকে মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ, এবারের পরিস্থিতি অন্যবারের থেকে আলাদা। খোলামেলা মণ্ডপ করতে হবে। যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যায়। প্রবেশ ও প্রস্থানের পথ আলাদা হবে। দরকারে গোল দাগ কেটে দিতে পারেন। হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্কের ব্যবস্থা রাখতে হবে। ফেসশিল্ড পরা স্বেচ্ছাসেবকদের সংখ্যাও বাড়ান। একসঙ্গে বেশি গাড়ি যেন মণ্ডপ চত্বরে না ঢোকে। অনলাইনে ঠাকুর দেখা এবং পুরস্কারের ব্যবস্থা করার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিচারকরা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত আসবেন। আর্জি জানিয়েছেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে বিরত থাকার জন্যও। আর এই প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী কড়া সমালোচনা করেছেন বিরোধীদের। বলেছেন, ‘খেয়াল রাখতে হবে, কোনওভাবেই যেন পুজোর জন্য সংক্রমণ না বাড়ে। ভিড় হলে বলবে, এই দেখ পুজোর জন্য হল। কোনও উত্সবই এবার ঠিক মতো আয়োজন করা যায়নি। রেড রোডে নামাজও পড়তে পারেননি ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা। আমরা পুজো নিয়ে রাজনীতি করি না। কিন্তু অনেকে শকুনির মতো বসে আছে। কিছু বললেই বলবে পুজো করতে দিচ্ছে না। যারা বলে তাদের তো কোনও দায় নেই। যারা সরকারে আছে, তাদের দায়।’ এদিনের অনুষ্ঠানে ছিল সর্বধর্ম সমন্বয়ের ছবি। কয়েকজন পুরোহিতের হাতে শংসাপত্র ও দু’মাসের ভাতার টাকা তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। দলিত ও হিন্দি অ্যাকাডেমিকে ৫ কোটি টাকা করে অনুদান তুলে দেন। তাঁর শেষ কথা একটাই, ‘করোনা হারবে, বাংলা জিতবে।’