পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কমিশন সূত্রের খবর, ৪ জুন অশোকবাবুকে পেটের সমস্যা নিয়ে উডল্যান্ডস-এ ভর্তি করা হয়। ১১ জুন তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। এরপরই তাঁকে ঝটপট বিল মিটিয়ে হাসপাতাল থেকে দুই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে চলে যেতে বলা হয়। এরপর ডিসানে গেলে দু’লক্ষ টাকা না পেলে চিকিৎসা হবে না বলে জানানো হয়। বিদেশে থাকা এক প্রিয়জন দু’লাখ টাকা অনলাইনে পাঠান। কিন্তু যতক্ষণ না টাকা মিলছে, রোগী অ্যাম্বুলেন্সেই পড়েছিলেন। কোনও চিকিৎসক তাঁকে ছুঁয়েও দেখেননি। এরপর ১৫ দিন চিকিৎসায় ৮ লাখ ১৩ হাজার ৮০ টাকা বিল হয়। রোগীকে অবশ্য বাঁচানো যায়নি। বিল দিতে দেরি হওয়ায় দেহ আটকে রাখারও অভিযোগ ওঠে।
এছাড়া ২৯ দিনের এক দুধের শিশুর মৃত্যুতে গাফিলতি প্রমাণিত হওয়ায় মালদহের এক বেসরকারি হাসপাতালকে দু’লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। অভিযোগ ছিল, বারবার বলা সত্ত্বেও মাকে বাচ্চার কাছে রাখতে দেয়নি ওই হাসপাতাল। পরে দুধ খাওয়াতে গিয়ে বিষম লেগে তার মৃত্যু হয়। এক্ষেত্রেও হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। সুকৃতি ভট্টাচার্য নামে এক মহিলার রোগপরীক্ষায় গাফিলতি হওয়ায় এআরসি আইভিএফ নামে একটি বন্ধ্যত্বের চিকিৎসার প্রতিষ্ঠানকে ৫২ হাজার ৭০০ টাকা এবং করোনা গাইডলাইন না মানায় তপসিয়ার ফ্লেমিং এবং বেহালার অ্যাপেক্স হাসপাতালকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানারও নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।