কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, তারা নাবালকদের প্রথমে ধর্মীয় বিষয়ে পাঠ দিত। লক্ষ্য ছিল, উগ্র মনোভাব তৈরি করা। তার জন্য এক বিতর্কিত লেখকের একটি বিশেষ বই পড়ে শোনানো হতো। অনেক সময় নাবালকদের সেই বই উপহার হিসেবেও দেওয়া হয়। জলঙ্গির ঘোষপাড়া থেকে ধৃত আতিউর রহমানের বাড়ি থেকে এরকম একটি বই গোয়েন্দারা উদ্ধার করেছেন। আতিউরের এক দাদা বলেন, বইটি তাকে একজন দিয়েছিল। তবে তাতে কী লেখা আছে জানি না। ভাই হয়তো বইটি পড়ে থাকতে পারে। ও নিজের ঘরেই সেটি থাকত।
নওদাপাড়া গ্রামের পাশাপাশি জলঙ্গির মধুবোনা গ্রামেও একটি প্রতিষ্ঠানে রোজই নাবালকদের পাঠ দেওয়া হতো। গোয়েন্দাদের হাতে এমনই তথ্য এসেছে। মধুবোনা গ্রামে মইনুল মণ্ডল এরকম একটি প্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহণ করত। তার এক আত্মীয় বলেন, ও প্রতিদিনই বিকেলে একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে যেত। সেখানে বিকেলের দিকে বাচ্চারা আসত। মইনুল ছাড়াও তাদের গ্রামের আরও একজন সেখানে পড়াত। নানা বিষয়ে পড়ানো হলেও জেহাদি তৈরির পাঠ সে কখনোই দিত না। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, শৈশবে মগজ ধোলাইয়ের পরিকল্পনা শুধু ডোমকল মহকুমা নয়, সামশেরগঞ্জ, সূতি এবং লালগোলার কিছু এলাকায় এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কারণ ছোটদের মগজধোলাই করা করা খুব সহজ। তাদের প্রথম অবস্থা থেকেই উগ্র মনোভাব তৈরি করা গেলে সংগঠন দ্রুত বিস্তার লাভ করে। সমস্ত স্তরে জঙ্গি সংগঠনের বীজ সহজে ছড়িয়ে দেওয়া যাবে। সেই কারণেই এই পরিকল্পনা। তাছাড়া অভিভাবকরা জানতে পারেন না, তাঁদের ছেলেরা কী পাঠ নিচ্ছে। সরল বিশ্বাসেই অনেকে সন্তানদের পাঠিয়ে দেন। সেই সুযোগ কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করেছে জঙ্গিরা। অল্পবয়সিদের প্রশিক্ষিত করতে সময় লাগলেও ভিত হয় মজবুত। তারা লক্ষ্যে অবিচল থাকে। তাতে সংগঠন অনেক বেশি শক্তপোক্ত হয়। নওদাপাড়া গ্রামের এক অভিভাবক বলেন, ছেলে প্রতিদিনই ওই প্রতিষ্ঠানের যেত। এখানে ধর্মীয় বিষয়ে পাঠ দেওয়া হয়। এখনও ছেলের মধ্যে সেভাবে অস্বাভাবিকতা বুঝতে পারিনি।