কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
ইউজিসিরি সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন বিধানসভায় বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীও। তিনি বলেন, ‘যাঁরা এই পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্বে, তাঁদের দেশ সম্পর্কে কোনও বোধ নেই। ভারতবর্ষ নানা জাতি, নানা মত, নানা ভাষাভাষীর দেশ। কিন্তু দিল্লিওয়ালারা তা মানতে চায় না। বাংলা ও বাঙালির ব্যাপারে ওঁদের কোনও আগ্রহ নেই। তাঁরা মনে করেন, সবটা এককেন্দ্রিক। ষষ্ঠী থেকে পুরোদস্তুর পুজোর আনন্দ শুরু হয়ে যায়। এই সময় বাংলার ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা হয় না। এটা ওঁরা জানেন না, জানার মতো আগ্রহও নেই। যুব কংগ্রেস নেতা রোহন মিত্র ট্যুইটারে লেখেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির পরীক্ষাসূচিতেও বাংলা ও বাঙালির প্রতি বৈষম্য! শারদীয়া উৎসব তো কেবল বিশেষ ধর্মের বেড়াজালে আটকে নেই। শারদীয়া উৎসব তো বাঙালির প্রাণের উৎসব। সেই উৎসবের দিনগুলোতে পরীক্ষা রাখার কী মানে?’
পরীক্ষাগুলি শেষ হতে সন্ধ্যা ৬টা বাজবে। ফলে, একদিকে যখন মণ্ডপে মণ্ডপে ঢাকের বাদ্যি বাজবে, তখন মাথা গুঁজে পরীক্ষা দিয়ে যেতে হবে প্রার্থীদের। তাই আপত্তি ওঠা খুবই স্বাভাবিক বলেই মনে করছে শিক্ষামহলের বড় অংশ। স্নাতকস্তরের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা, মেডিক্যাল নিট, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা (মেন) নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে গিয়েছে রাজ্য। তা শেষ হতে না হতে আরও একটা সংঘাতের জায়গা তৈরি হল। বিজেপিপন্থীরা অবশ্য বলছেন, নেট পরীক্ষার্থীরা স্কুলপড়ুয়া নন। ফলে, পুজোর আনন্দ নষ্ট হবে বলে বিরাট আক্ষেপ করবেন না। করোনার জন্যই পরীক্ষা পিছিয়ে এই সময়ে করতে হচ্ছে। অধ্যাপনার পেশায় প্রবেশের গুরুত্বপূর্ণ এই পরীক্ষা তাঁরা খুশিমনেই দেবেন।