কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
শ্রমদপ্তর সূত্রের খবর, একটি নির্দিষ্ট সময় বা দিনে কোনও চটকলে কত শতাংশ স্থায়ী এবং বদলি কর্মচারী থাকবেন, তার রূপরেখা নির্দিষ্ট করাই হবে কমিটির মূল সুপারিশ। যদিও সরকার সেই সুপারিশ মেনে নিয়ে আদেশনামা জারি করার জন্য ঠিক কত সময় নেবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। খুব দ্রুত কমিটি তার কাজ শেষ করলেও উৎসব মরশুমের পর ডিসেম্বর নাগাদ এই আদেশনামা বের হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকার বিরোধী শ্রমিক সংগঠনগুলি অবশ্য কমিটির উদ্যোগ নিয়ে খুব একটা আশাবাদী নয়। তাদের অভিমত, কমিটির সাহায্যে এব্যাপারে একটি শ্রমিক স্বার্থবাহী ঘোষণার মাধ্যমে সরকার আগামী নির্বাচনের আগে বড় চমক দিতে চাইছে। ঘোষণার সঙ্গে বাস্তবের ফারাক তারপরেও যথারীতি থেকে যাবে। যেভাবে গত বছর ত্রিপাক্ষিক চুক্তির পরও অন্তত ১০ হাজার শূন্য পদে স্থায়ী শ্রমিক নিয়োগের বিষয়ে চটকল মালিকরা কার্যত নির্লিপ্তই থেকে গিয়েছেন, এক্ষেত্রেও তার পুনরাবৃত্তি হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। শ্রমিক সংগঠনগুলি যাই বলুক না কেন, শ্রমদপ্তরের এই উদ্যোগ ঘিরে কিন্তু চটশিল্পে বেশ চর্চা শুরু হয়েছে। গত সোমবার নব মহাকরণে দপ্তরের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত কমিটির প্রথম বৈঠক হওয়ার পর এই চর্চা আরও বেড়েছে। জানা গিয়েছে, কমিটি শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সংগঠনগুলি থেকে রাজ্যের সমস্ত চটকলের বিভাগ বা শাখাওয়ারি কর্মী সংখ্যা ও তাদের চাকরির স্থায়িত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছে। কোথায় কতজন স্থায়ী, বদলি বা স্পেশাল বদলি শ্রমিক রয়েছেন, তার সর্বশেষ পরিসংখ্যান হাতে পাওয়ার পর দপ্তরের তরফে তা যাচাইয়ের জন্য কারখানাগুলিতে আচমকা পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ভেবেছে দপ্তর। এক্ষেত্রে ফ্যাক্টরি ইন্সপেক্টরদের ভূমিকা হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে চালু ৫৪টি চটকলে স্থায়ী ও বদলি মিলিয়ে প্রায় আড়াই লাখ শ্রমিক রয়েছেন। তার মধ্যে এখন অধিকাংশ চটকলেই বদলি শ্রমিকদের ভিড় বেশি। বেতন সহ নানা ধরনের সামাজিক সুরক্ষার সুবিধাও নিয়মিত মেলে না এই শ্রমিকদের। এই বঞ্চনা নিয়ে নবান্নে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর কানেও নালিশ পৌঁছেছে। তারপরই তৎপর হয়েছে শ্রমদপ্তর।