পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ইতিমধ্যে সংগঠনে ব্যাপক রদবদল করেছে তৃণমূল। জেলা কমিটিগুলি তৈরির কাজ চলছে। ব্লক এবং ওয়ার্ড সভাপতিদের নামের তালিকা ধাপে ধাপে প্রকাশ করা হচ্ছে। তার আগে প্রতিটি জেলা ধরে ধরে আলোচনা চলছে। জেলায় দলের চেয়ারম্যান, সভাপতি, কো-অর্ডিনেটর ও যুব সভাপতিকে কলকাতায় ডেকে পাঠানো হচ্ছে। তাঁদের সঙ্গে সময় নিয়ে আলোচনা করছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে থাকছেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরও। শুক্রবার আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার জেলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শনিবার বৈঠকে ছিল দুই দিনাজপুর, মালদা জেলা নিয়ে। ব্লক বা ওয়ার্ড সভাপতিদের নামের একটি তালিকা জেলা থেকে রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। সেই তালিকা নিয়েই শীর্ষ নেতারা জেলা সভাপতি সহ অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। ইতিমধ্যে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ব্লক সভাপতিদের তালিকা প্রকাশ হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা উত্তরের ৬০টি ওয়ার্ডের সভাপতিদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে ১১জন নতুন সভাপতি। চলতি মাসের মধ্যে বাকি জেলাগুলির তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
দলীয় সূত্রে খবর, বৈঠকে রাজ্য নেতারা নির্দেশ দিয়েছেন, বিভেদ ভুলে জেলায় একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কে কার লোক এসব চলবে না। দল একটাই। সেই দলকে শক্তিশালী করতে সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। বৈঠকে প্রশান্ত কিশোরও বক্তব্য রাখেন। তিনিও জেলায় যাবেন বলে এক নেতা জানিয়েছেন। রবিবার ফালাকাটায় দলীয় বৈঠক করবেন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষত উত্তরবঙ্গের সংগঠনের বিশেষ জোর দিয়েছে তৃণমূল। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিধি মেনেই সংগঠনের কাজ করার কথা বলা হয়েছে। তবে ঘরে বসে থাকলে চলবে না, এটাও স্পষ্ট নির্দেশ নেতৃত্বের। সেইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াকে প্রতিদিন ব্যবহার করে মানুষের কাছে পৌঁছতে বলা হয়েছে। আর হাটে-বাজারে শুধু পথসভা নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উন্নয়নকে বাড়ি বাড়ি প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।