পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
লোকসভায় পরিবেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে লিখিত তথ্য পেশ করে বলা হয়েছে, বায়ুদূষণ সৃষ্টিকারী পিএম১০-এর বার্ষিক গড় মান নির্ণয় করেই দেশের দূষিত শহরগুলির তালিকা প্রকাশ করেছে তারা। ২০১৮ সালের নিরিখে রাজ্যের মধ্যে বায়ুদূষণে সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে হাওড়ায়। ২০১৮ সালে হাওড়ায় পিএম১০-এর বার্ষিক গড় ১৭৯। অর্থাৎ, সংশ্লিষ্ট শহরে প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ১৭৯ মাইক্রোগ্রাম পিএম১০ রয়েছে। ২০১৮ সালের নিরিখে পিএম১০-এর বার্ষিক গড় মানের ক্ষেত্রে হাওড়ার পরেই রয়েছে যথাক্রমে কলকাতা (১৪৮), রানিগঞ্জ (১৪৭) এবং আসানসোল (১৪৬)। এই মাপকাঠিতে ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে রাজ্যের কলকাতা, হাওড়া, হলদিয়া এবং বারাকপুরে বায়ুদূষণের পরিমাণ একধাক্কায় অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও সবথেকে দূষিত ১২২টি শহরের তালিকায় থাকলেও ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত একটানা বায়ুদূষণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে, এমন কোনও শহর অবশ্য বাংলায় নেই। উল্লিখিত সময়ে পশ্চিমবঙ্গের শহরগুলিতে বায়ুদূষণের পরিমাণ কখনও বৃদ্ধি পেয়েছে, আবার কখনও কমেছে। সংসদে লিখিতভাবে পরিবেশমন্ত্রক জানিয়েছে, ন্যাশনাল এয়ার কোয়ালিটি মনিটরিং প্রোগ্রামের (এনএএমপি) আওতায় দেশের ৩৪৪টি শহরের ৭৯৩টি স্থানে বায়ুদূষণের পরিমাণ নিয়মিতভাবে পরিমাপ করা হয়। পাশাপাশি বায়ুদূষণ সৃষ্টিকারী পিএম২.৫-এর মান পরিমাপ করা হয় ১৩২টি শহরের ২৭৪টি স্থানে। পরিবেশমন্ত্রক জানিয়েছে, ২০১৭ সালকে বেস-ইয়ার হিসেবে ধরে নিয়ে ২০২৪ সালের মধ্যে যাতে বায়ুদূষণের পরিমাণ অন্তত ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমানো যায়, সেই লক্ষ্যে ন্যাশনাল ক্লিন এয়ার প্রোগ্রাম (এনসিএপি) কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।