কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের রাজশাহি ও চাঁপাই নবাবগঞ্জে হুন্ডি কারবার খুলেছিল এরাজ্যের তিনজন। সম্পর্কে তিন ভাই। একটি সংস্থার নাম দিয়ে অফিস খুলে লেনদেন চালাত তারা। বাংলাদেশ প্রশাসন নড়েচড়ে বসতেই তিন জনেই চম্পট দিয়েছে। এরাজ্যে তারা আশ্রয় নিতে পারে বলে আশঙ্কা ঢাকার। সেই সতর্কবার্তা মিলতেই মুর্শিদাবাদ এবং মালদহ জেলায় খোঁজ শুরু করেছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি।
গোয়েন্দা সূত্রে আরও খবর, সীমান্তে টাকার লেনদেন হয় না। পাচারের পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পাচারকারীদের হাতে টাকা পৌঁছে যায়। এদেশ থেকে যেমন গোরু-মোষ, অস্ত্র, মাদক বা অন্যান্য সামগ্রী যায়, তেমনই বাংলাদেশ থেকেও আসে জাল নোট, সোনার বাট, কাপড় সহ বিভিন্ন জিনিস। এক গোয়েন্দা আধিকারিকের বলেন, সীমান্তে বিএসএফ কড়াকড়ি করছে ঠিকই। কিন্তু পাচার বন্ধ হয়নি। জলঙ্গি, সামশেরগঞ্জ এবং রানিনগর এলাকায় রাতের অন্ধকারে নানা সামগ্রী পাচার হচ্ছে। খুব কম লোককে ধরতে পারছে বিএসএফ।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার সীমান্তে সব ধরনের পাচার বন্ধ করতে কড়া নির্দেশ দিয়েছে। তারপরেই হুন্ডি কারবারিদের জালে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এজেন্সিগুলি। তবে আধিকারিকদের মতে, হুন্ডি কারবারিরা বেশিরভাগ সময় কোনও প্রমাণ রাখে না। ফোন ট্যাপ হয় বলে চিরকুটের মাধ্যমে বার্তা যায়। ফলে গোয়েন্দাদের কাজ আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। বিএসএফের ডিআইজি কুণাল মজুমদার বলেন, ‘হুন্ডির কারবার সীমান্তে হয় না। শহরে বসে এই ধরনের লেনদেন হয়। পরিস্থিতির উপর আমরা নজর রাখছি।’