কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ব্যবসায়ী মানস ঘোষ জানালেন, আলুবীজ মূলত পাঞ্জাব ও হিমাচল প্রদেশ থেকে আসে। পশ্চিমবঙ্গের আলুর বাজারদর অনুযায়ী বীজ আলুর দাম ঠিক হয়। পাঞ্জাবের ব্যবসায়ীদের কাছে মার্চ মাস থেকে আলুবীজ বুকিং শুরু হয়। কিন্তু এই বছর পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশের ব্যবসায়ীরা অগ্রিম বুকিং নিতে চাইছেন না। প্রত্যেকেই বীজের দাম বেশি হওয়ার কথা ভাবছেন। গত বছর রাজ্যে খাবার আলু (জ্যোতি) প্রতি ৫০ কেজি বস্তার দাম ছিল ৩৫০ টাকা। তখন ওই আলুবীজ বিক্রি হয়েছে ৫০ কেজির বস্তাপিছু ১৩০০-১৫০০ টাকাতে। এখন রাজ্যের বাজারে জ্যোতি আলুর গড় দাম ১৩৫০-১৪০০ টাকা প্রতি ৫০ কেজি। অর্থাৎ প্রায় চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে আলুর দাম। সেই অনুপাতে বীজ আলুর দাম দ্বিগুণ ছাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। অক্টোবর মাসের শেষ থেকে জমিতে আলুবীজ বসানো শুরু হয়। বিঘা প্রতি ৩-৪ বস্তা আলুবীজ প্রয়োজন হয়। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে সেখান থেকে ফসল হতে পারে ৭৫-৯০ বস্তা(প্রতি বস্তা ৫০ কেজি)।
আলুবীজের দাম যে বাড়বে তা স্বীকার করে নিয়ে রাজ্য আলু বীজ ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক স্বপন সামন্ত বলেন, প্রতি বছর রাজ্যে ৬০ লক্ষ প্যাকেট আলুবীজ লাগে। আলুর দাম বেশি থাকায় এই বছর চাহিদা কিছুটা বাড়তে পারে। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে অন্য রাজ্যে আলুবীজের উৎপাদন কিছুটা কম হয়েছে। বর্তমানে আলুবীজ ব্যবসায়ীদের কেনা দাম পড়ছে জ্যোতি আলু ২৫০০-২৮০০ টাকা, চন্দ্রমুখী ৩১০০-৩৫০০ টাকা। অর্থাৎ রাজ্যের ব্যবসায়ীদের লাভ ছাড়া ধরলে, আলুবীজের দাম ইতিমধ্যেই গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ হয়ে বসে রয়েছে। লাভ যোগ করলে দাম স্বাভাবিকভাবেই আরও বাড়বে। হরিপালের মোড়া পশ্চিম গোপীনাথপুরের কৃষক নারায়ণ চেল বলেন, ২০১৯ নভেম্বর থেকে আলুচাষিদের স্বর্ণযুগ চলছে। এখনও পর্যন্ত আলুর দাম এতটা কখনও বাড়েনি। আলুর দাম বেশি পেয়ে আমাদের মত কৃষকদের উপকার হয়েছে ঠিকই। কিন্তু, তার ফলেই এই বছর আলু বসানোর খরচও বাড়বে কয়েক গুণ। বীজ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ ছাড়াতে পারে আলু বীজের দাম। পাল্লা দিয়ে বাড়তে পারে সার সহ অন্যান্য সামগ্রীর দাম। বাজারে আলুর দাম বাড়লে পুলিসি অভিযান চালায় সরকার। কিন্তু বীজ আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিসি অভিযান চোখে পড়ে না। দাম বেশি রয়েছে বলে কৃষকরা এই বছর বেশি পরিমাণে আলু চাষ করবেন। আলু বীজের চাহিদা থাকবে। সেই সুযোগে ভিন রাজ্যের বীজ ব্যবসায়ীরা মুনাফা লুটবে। এই বিষয়ে এখনই রাজ্য সরকারের নজর দেওয়া প্রয়োজন। শেষ সময়ে নজর দিলে কোনও লাভ হবে না।