পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বুধবার কৃষিজমির আলে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে কর্মসূচি পালন করে তৃণমূলের কিষাণ খেতমজদুর শাখা। প্রতিবাদ জানানো হয় বিজেপি সরকারের কৃষক বিরোধী নীতির। রাজ্যের প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কৃষি জমির আলে দাঁড়িয়ে এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে বলে নেতৃত্বের দাবি। সিঙ্গুরের ট্রমা সেন্টারের পাশে বেড়া জমিতে আন্দোলন কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন বেচারাম মান্না। তাঁর মোবাইলের মাধ্যমেই বার্তা দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা তুলে ধরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি। বলেছেন, আলু, পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। এর জন্য দায়ী কেন্দ্রীয় সরকার। এই দাম বৃদ্ধির কারণ প্রসঙ্গে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, কিছু ফড়ে ও ভুঁইফোঁড় চাষিদের কাছ থেকে কম দামে কিনে বিভিন্ন দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে। অথচ বলছে চাষিরা নাকি অভাবী বিক্রি করছে। কিন্তু চাষিরা কেন ইংল্যান্ড, ইতালিতে আলু-পেঁয়াজ বিক্রি করতে যাবে? আলু, পেঁয়াজ অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের মধ্যে পড়ে। সবই যদি বাংলায় উৎপাদনের পর বিদেশে চলে যায়, তাহলে দেশে থাকবে কী? বড় কেলেঙ্কারি ঘটিয়েছে কেন্দ্র। আমরা এর প্রতিবাদ করছি। বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে চাষিদের পাশে রাজ্য সরকার কীভাবে রয়েছে, তা তুলে ধরেছেন মমতা। শস্যবিমার পুরো টাকা প্রদান, কৃষকবন্ধু প্রকল্প, কৃষি সরঞ্জাম প্রদান, কিষাণ ক্রেডিট কার্ড, ভর্তুকি দেওয়া সহ একাধিক বিষয়ের কথা উল্লেখ করা হয়। সেইসঙ্গে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার আগে সিঙ্গুর নিয়ে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সরকারে এসে তা পূরণ করেছে বলে মন্তব্য করেন মমতা। বলেছেন, কৃষকদের জমি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। এই অবস্থায় সিঙ্গুরকে কেন্দ্র করে কৃষিভিত্তিক শিল্পের উপর জোর দিয়েছে সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, একদিকে কৃষি, অন্যদিকে হাইওয়ে ধরে শিল্প তৈরি হোক। তাতে সিঙ্গুর আরও উন্নত হবে। এমনিতেই সিঙ্গুর উন্নত এলাকা। এখানে অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক হবে। ইতিমধ্যেই তার জন্য জায়গা নির্বাচিত করা হয়েছে। অ্যাগ্রো প্রসেসিংয়ের পার্ক হবে। তাতে বহু মানুষের কর্মসংস্থান যেমন হবে, তেমনই কৃষিজাত পণ্যের ব্যবসা করা যাবে। এছাড়াও সরকারের তরফে তিন হাজার মেট্রিক টন পণ্য রাখার হিমঘর নির্মাণ ও খড় না পুড়িয়ে সেটিকে পুনরায় কাজে লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
এদিন সিঙ্গুরের মানুষের কাছে তৃণমূল নেত্রীর বার্তা, মনে রাখবেন আঙুর ফল টক। বিজেপি কর্মীদের কাছে যাবেন না। ওরা মিথ্যা কথা বলবে। আমরা আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি, থাকব। এলাকায় ছোটখাট ভুলত্রুটি কেউ করলে তা সংশোধন করতে হবে। মানুষ মাত্রই ভুল হয়। তা সংশোধন করে নেওয়া যায়। বাইরে থেকে লোক এসে বাংলাকে পথ দেখাবে না। বাংলাকে শাসন করবে বাংলাই।