পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাজ্যে সব ধরনের মোট কৃষকের সংখ্যা ৭১ লাখের কিছু বেশি। ৩১ আগস্টের মধ্যে প্রায় ৫৮ লাখ কৃষক খরিফ মরশুমে শস্যের বিমা করিয়েছিলেন। এগ্রিকালচার ইন্সিওরেন্স কোম্পানির পক্ষে বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পের নোডাল অফিসার সৌরভ গুপ্ত মঙ্গলবার জানিয়েছেন, এই সংখ্যা এখন বেড়ে ৬১ লাখ ছাড়িয়েছে। প্রকল্পের সময়সীমা বৃদ্ধির ফলে আরও কৃষককে এই প্রকল্পের আওতায় আনার ব্যাপারে আশাবাদী সংস্থা। গত বছরের শস্য বিমা প্রকল্পে নথিভুক্ত কৃষকের সংখ্যা ছিল প্রায় ৪৪ লাখ। এবার সেই সংখ্যা আগেই পার হয়ে গিয়েছে।
এই শস্য বিমায় প্রিমিয়ামের পুরোটাই রাজ্য সরকার বহন করে। এক সময় কেন্দ্রীয় সরকারের শস্য বিমা রাজ্যে চালু ছিল। তাতে প্রিমিয়ামের একটা অংশ কৃষকের দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার তখনও কৃষকের অংশের প্রিমিয়াম দিয়ে দিত। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নেন, কেন্দ্রের শস্য বিমা প্রকল্প থেকে বেরিয়ে এসে রাজ্য সরকার কৃষকদের জন্য আলাদা বিমা চালু করবে। সেই মতো ‘বাংলা শস্য বিমা’ প্রকল্প চালু হয়। এই প্রকল্পে ধান, পাট, ভুট্টা ও গমের জন্য কৃষকদের কোনও প্রিমিয়াম দিতে হয় না।
বেশি সংখ্যক কৃষক যাতে এই বিমার আওতায় আসে, তার জন্য খরিফ মরশুমের প্রথম থেকে উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের কৃষক বন্ধু প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত সব কৃষক এবং গত বছর শস্য বিমা করিয়েছিলেন, এমন সবাই সরাসরি এবারের খরিফ মরশুমের বিমার আওতায় চলে আসেন। এখন কৃষক বন্ধু প্রকল্পে নথিভুক্তের সংখ্যা প্রায় ৪৮ লাখ।
এর বাইরে থাকা কৃষকরাও যাতে এই প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন, সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে নাম নথিভুক্ত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃষিদপ্তর ছাড়াও বিমা কোম্পানির প্রতিনিধিরা সেখানে থাকছেন। কোনও কৃষক নাম নথিভুক্ত করতে এলেই অনলাইনে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে। প্রয়োজনে কৃষকের বাড়ি থেকে প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে আসা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, জমির আছে এমন কৃষক ছাড়াও যাঁরা অন্য জমিতে চাষ করেন, তাঁরাও এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। তার জন্য নথিভুক্ত বর্গাদার না হলেও চলে। নিজের জমি থাকলে তার নথি পেশ করতে হয়। অন্যের জমিতে চাষ করলে পঞ্চায়েতের সার্টিফিকেট লাগে।
রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিমা কোম্পানির চুক্তি অনুযায়ী, কৃষকের কোনও ক্ষতিপূরণ প্রাপ্য হলে, তা খরিফ মরশুম শেষ হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে মিটিয়ে দিতে হবে। সরকারিভাবে খরিফ মরশুম শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর। আমন ধানের ক্ষেত্রে গ্রাম পঞ্চায়েত ভিত্তিতে ক্ষতিপূরণের মাত্রা নির্ধারিত হবে। ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের ক্ষেত্রে এবার প্রথম ইসরোর উপগ্রহের মাধ্যমে তোলা ফসলের ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে। তাছাড়া জমির সামনে গিয়ে সমীক্ষা ও আবহাওয়াজনিত পরিসংখ্যান পর্যালোচনাও থাকছে। ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য কোনও কৃষককে আবেদন করতে হবে না। গ্রাম পঞ্চায়েত ভিত্তিক ক্ষতিপূরণের মাত্রা নির্ধারণের পর সেই টাকা কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে যাবে।