বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা সারতে এখনও কিছু দিন সময় লাগবে। কিন্তু রাজ্যে প্রায় এক লক্ষ দুর্গাপুজো হয়। ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকেই যায়। তাই গ্লোবাল অ্যাডভাইসরি বোর্ডের বৈঠকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, দুর্গাপুজোয় প্যান্ডেল যেন খোলা রাখা হয়। কারণ, অনেকেই অঞ্জলি দিতে আসেন। তাতে ভিড় বাড়বে। প্যান্ডেল খোলামেলা থাকলে হাওয়া-বাতাস বইবে। জীবাণু থাকলে তা বেরিয়ে যাবে। তবে খোলামেলা মানে এই নয় যে প্রতিমার মাথার উপরে আচ্ছাদন থাকবে না। দর্শকের জায়গাটুকু যেন উন্মুক্ত থাকে।
অন্যদিকে, করোনা পরিস্থিতিতে সনাতনী ধর্মে যে ব্রাহ্মণরা পুজো করেন, তাঁদের নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তাঁদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুরোহিতদের অনেকেই যথেষ্ট গরিব। পুজো করে অনেক সময় সংসার খরচ ওঠে না। আমার সঙ্গে তিন-চারবার মিটিংও করেছেন তাঁরা। সেই ব্রাহ্মণদের জন্য আমি মাসে এক হাজার টাকা ভাতার বন্দোবস্ত করেছি। প্রাথমিকভাবে এমন আট হাজার পুরোহিতকে এই ভাতার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। পুজোর মাস থেকেই যাতে তা মেলে, সেই নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘ব্রাহ্মণদের মধ্যে যাঁদের ঘরবাড়ি নেই, তাঁদের বাংলা আবাস যোজনায় বাড়ি করে দেওয়া হবে। তবে বিষয়টি শুধু হিন্দুদের, এরকম নয়। খ্রিস্টান-পাদ্রিরাও যদি চান, আমি সাহায্যে প্রস্তুত। সনাতনী ব্রাহ্মণরা একটি জমি চেয়েছিলেন। আমি তাঁদের এক টাকার বিনিময়ে কোলাঘাটে জমি দিয়েছি। সেখানে তাঁরা তীর্থস্থান গড়ে তুলছেন। সেইসঙ্গে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হতে চলা মন্দির, মসজিদ, গির্জা ও গুরুদ্বারগুলির ম্যাপিং শুরু করছে তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তর। ম্যাপিং শেষ হলে সেগুলি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।