পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
করোনা নিয়ন্ত্রণে লকডাউনকে মোক্ষম অস্ত্র করেছে প্রতিটি দেশ। ভারতও তার ব্যতিক্রম নয়। লকডাউন চলাকালীন শুরু হয়েছে নতুন আর্থিক বছর। ফলে এপ্রিল মাসে এক রকম মুখ থুবড়ে পড়ে ১০০ দিনের কাজ। পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজে গতি আনতে বিশেষ জোর দেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তারই সুফল মিলল।
এই প্রকল্পে কাজ দেওয়ার তিনটি ক্যাটিগরি রয়েছে। প্রথমটি বাড়িপিছু (হাউসহোল্ড), দ্বিতীয় ব্যক্তি এবং তৃতীয় কর্মদিবস। কেন্দ্রের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে এই তিন বিভাগের পারফরম্যান্সের রিপোর্ট আপলোড করা হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, সোমবার পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলার মোট ৬ লক্ষ ২৪ হাজার ৬৫৫টি পরিবার কাজ পেয়েছে। গোটা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। হুগলি জেলা কাজ দিয়েছে মোট ৫ লক্ষ ৮৮ হাজার ৪১৭টি পরিবারকে। ৫ লক্ষ ৮৩ হাজার ৮৮০ পরিবারকে কাজ দিয়ে তৃতীয় স্থানে তামিলনাড়ুর ভেল্লুপুরম।
কেন্দ্রের রিপোর্ট বলছে, চলতি আর্থিক বছরে এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে ৫ কোটি ৮৩ লক্ষ ৪০ হাজার ৪৮টি পরিবার ১০০ দিনের কাজ পেয়েছে। যার মধ্যে বাংলার সামগ্রিক পারফরম্যান্স অন্যান্য রাজ্যের চেয়ে অনেক ভালো। রাজ্যে মোট ৬১ লক্ষ ২৬ হাজার ৪১১টি পরিবার কাজ পেয়েছে। কাজ পেয়েছেন মোট ৮৪ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৯৩ জন জবকার্ডধারী। সব মিলিয়ে মোট ২০ কোটি ৩৮ লক্ষ ৮৫ হাজার ৫৭৮টি কর্মদিবস সৃষ্টি হয়েছে রাজ্যে। পূর্ব বর্ধমানে ৮ লক্ষ চার হাজার ৮৩০ জবকার্ডধারীকে কাজ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলায় মোট কর্মদিবস সৃষ্টি হয়েছে ১ কোটি ৩৩ লক্ষ ৮৩ হাজারেরও বেশি। লকডাউনের মধ্যে ভিনরাজ্য থেকে হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক এই জেলায় ফিরেছেন। এরকম মোট ২৪ হাজার ২৭৭ পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারকে ১০০ দিনের কাজ দিয়ে নজির গড়েছে প্রশাসন। জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, ‘পরিবারপিছু সবচেয়ে বেশি কাজ দিয়ে আমাদের জেলা সাফল্য পেয়েছে। এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি ব্লক ও প্রতিটি পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজ চলছে।’- ফাইল চিত্র