বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
গৌতম কুণ্ডুর বিরুদ্ধে ভুবনেশ্বরে মামলা রুজু করেছে সিবিআই। সেই তদন্ত চলছে। এই মামলাতেই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায় ও প্রয়াত অভিনেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ তাপস পাল। সিবিআই আগেও অবশ্য গৌতম কুণ্ডুকে ওড়িশায় নিয়ে গিয়েছিল। ভুবনেশ্বরের মামলায় বেশ কিছু নতুন তথ্যপ্রমাণ হাতে পেয়েছে সিবিআই। যে কারণে তাঁকে জেরা করতে চায় তারা। প্রথমে ভুবনেশ্বর আদালতে একারণে আবেদন করেছিলেন তদন্তকারীরা। সেই আদালত তা মঞ্জুর করেছে।
এরপর সিবিআই প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের জমা করে কপি ইডির বিশেষ আদালতে। কিন্তু এই আদালতে কেন? আসলে গৌতম কুণ্ডুর বিরুদ্ধে এ রাজ্যে কোনও এফআইআর করেনি সিবিআই। ইডির করা মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। ফলে ইডির হেফাজতেই রয়েছেন তিনি। আদালতের বক্তব্য, শুনানি চলায় গৌতম কুণ্ডুকে মাঝেমধ্যেই আদালতে হাজির করতে হচ্ছে। চলছে সাক্ষ্যগ্রহণ। তাই এই অবস্থায় আদালত সিবিআইকে কোনও অর্ডার ইস্যু করতে পারছে না। বিষয়টি জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেই মেটাতে হবে সিবিআইকে। বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, আসলে গৌতম কুণ্ডুকে নিয়ে দুটি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। এই বিবাদের জেরে তদন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেই তাঁদের ধারণা। সিবিআই সূত্রে খবর, গৌতম কুণ্ডুকে ভিনরাজ্যে নিয়ে গিয়ে জেরা করার ক্ষেত্রে তাদের বারবার সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। বিভিন্ন অজুহাত খাড়া করা হচ্ছে। যে কারণে ধাক্কা খাচ্ছে তদন্ত। এর আগে ত্রিপুরা, অসম ও উত্তরপ্রদেশের পুলিস রোজভ্যালি কর্তাকে জেরা করতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায়। কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায়। যে কারণে তাঁকে নিয়ে যাওয়া যায়নি। এর পিছনে অন্য রহস্যের গন্ধ পাচ্ছে সিবিআই।
তাদের এক কর্তার কথায়, জেল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হলে তারা আদালতের কোর্টে বল ঠেলছেন। যে কারণে রোজভ্যালি কর্তাকে ওড়িশায় নিয়ে গিয়ে জেরা করার সম্ভাবনা কম বলে তাঁর ধারণা। তাই এখন জেলে গিয়ে জেরা করার পরিকল্পনা করছেন সিবিআই অফিসাররা।