নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গ সহ চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের ইঙ্গিত, ভোট নির্ধারিত সময়েই হবে। যে কারণে রাজনৈতিক দলগুলিও ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। ২১ জুলাই শহিদ স্মরণ কর্মসূচি থেকে বিধানসভা ভোটে লড়াইয়ে সুর বেঁধে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বহিরাগতরা বাংলা শাসন করবে না। বাংলা শাসন করবে বাংলার মানুষ। সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল শিবির। কলকাতা থেকে জেলা— দলীয় সংগঠনে ব্যাপক রদবদল হয়েছে। ব্লক এবং ওয়ার্ড ভিত্তিক সংগঠনও ঢেলে সাজা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তিন জেলায় পদাধিকারীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। দিন কয়েকের মধ্যে বাকি জেলাগুলিতেও হবে। তার আগে দলের হাল-হকিকত জানতে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করছেন শীর্ষ নেতারা। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা ও রাজ্যের প্রাপ্য প্রদানের দাবিতে সোমবার রাজ্যজুড়ে কর্মসূচি রয়েছে। তাছাড়া প্রতিদিনই বিজেপি শিবিরে ভাঙন ধরছে। তরুণ প্রজন্ম থেকে সমাজের বিশিষ্টরা একে একে শামিল হচ্ছেন শাসকদলে। এই প্রেক্ষাপটেই রবিবার আলিপুরে এক কর্মসূচিতে কলকাতার পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বলেন, বিজেপি যাঁরা করেন, তাঁরা অবসাদে ভোগেন। তাঁরা হয়তো গেরুয়া ঝাণ্ডা নিয়ে দৌড়চ্ছেন, কিন্তু তাঁদের মনে অপরাধবোধ থেকে যাচ্ছে। তাঁরা বাংলার মানুষকে ঘৃণা করছেন। সম্মান দিচ্ছেন না। অবসাদ কাটানোর জন্য বিজেপি না করাই শ্রেয়। পাশাপাশি বিজেপিকে সরাসরি আক্রমণ করেছেন তিনি। বলেছেন, একদিকে মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। অন্যদিকে জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দেওয়ার মতো সন্ত্রাসের কথা বলছে। মানুষ সব দেখছেন।
বিজেপির বিভাজনের রাজনীতিকে মানুষের কাছে তুলে ধরছে তৃণমূল নেতৃত্ব। সেইসঙ্গে কর্মীদের এলাকাবাসীর সঙ্গে নিবিড় জনসংযোগ গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছে নেতৃবৃন্দ। রবিবার কলকাতার ১১৮ নং ওয়ার্ডে বিভিন্ন আবাসনের আবাসিকদের সঙ্গে আলাপচারিতা করেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মানুষের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে কথাবার্তা হয়। এদিন ৮৬ এবং ৯০ নম্বর ওয়ার্ডে মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন শতাধিক মানুষ। বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূল নেতা মদন মিত্র বলেছেন, একুশের পরীক্ষা এগিয়ে আসছে। দিলীপ ঘোষ পরীক্ষায় বসলে ফেল করবেন।