বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এ প্রসঙ্গে রেলের এক কর্তা বলেন, কেন্দ্র-রাজ্য উভয়ই নীতিগতভাবে ট্রেন চালাতে রাজি। রাজ্য প্রশাসনের পরামর্শে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করে ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে পরিষেবা চালু করছে মেট্রো রেল। আমরাও একইভাবে নবান্নের সহযোগিতায় লোকাল চালাতে চাই। তবে মেট্রোর সঙ্গে এই বিষয়টিকে তুলনা করতে চাইছেন না তিনি। তাঁর কথায়, হাওড়া-শিয়ালদহ শাখা মিলিয়ে দৈনিক প্রায় ২৭ লাখ যাত্রী চলাচল করে লোকাল ট্রেনে। স্বভাবতই করোনা পর্বে এই বিরাট সংখ্যক যাত্রী সামাল দেওয়া মূল চ্যালেঞ্জ। স্টেশনের বাইরে তথা সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য রাজ্য সরকারের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। ওই কর্তা আরও জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র সচিব ইতিমধ্যেই নিয়ন্ত্রিতভাবে লোকাল চালানোর ছাড়পত্র দিয়েছে। নবান্নের বৈঠকে তার দিনক্ষণ এবং গাইডলাইন চূড়ান্ত করা হবে। আশা করি, খুব শীঘ্রই রেল কর্তৃপক্ষের ডাকে সাড়া দিয়ে বৈঠক ডাকবে রাজ্য।
অন্যদিকে, আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর, রবিবার চালু হচ্ছে কলকাতা মেট্রো। প্রথম দিন শুধু নিট পরীক্ষার্থীদের জন্য খোলা থাকবে মেট্রোর দরজা। পরদিন, সোমবার থেকে শুরু হবে নিয়ন্ত্রিত পরিষেবা। চূড়ান্ত ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার মেট্রোয় সওয়ার হয়ে পার্ক স্ট্রিট থেকে নোয়াপাড়া পর্যন্ত পরিদর্শন করেন জেনারেল ম্যানেজার মনোজ যোশি। বুধবার অন্যান্য স্টেশনের নানা দিক তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে খবর। ট্রেনের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেমন, মেট্রোর আসনে আটের পরিবর্তে চারজন যাত্রী বসতে পারবেন। বাকি আসনে কাটা দাগ দেওয়া থাকবে। দাঁড়ানোর ক্ষেত্রেও দূরত্ববিধি মানতে হবে। তবে কোনও মার্কিং থাকছে না। প্রতিটি স্টেশনে অবশ্য দাঁড়ানোর জায়গা মার্কিং করা থাকছে। প্রতিটি স্টেশনে ঢোকার মুখে বসেছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার মেশিন। ঢোকার মুখে থার্মাল গান দিয়ে তাপমাত্রা পরীক্ষা করবে আরপিএফ। বাইরে মোতায়েন থাকবে কলকাতা পুলিস। সেখানে ই-পাস দেখিয়ে তবে প্রবেশ করা যাবে স্টেশনে।
শেষ পর্বের প্রস্তুতি শিয়ালদহে।- সায়ন চক্রবর্তী