কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
হঠাৎ কেন এই উদ্যোগ? দপ্তরের কর্তারা বলছেন, করোনা পরিস্থিতি এবং লকডাউন বিশ্বজুড়ে কাজের সংস্কৃতিকে আমূল বদলে দিয়েছে। চিরাচরিত পদ্ধতির বাইরে গিয়ে কাজ করতে হচ্ছে সর্বস্তরেই। শুধু যে বেসরকারি ক্ষেত্রে কাজের ধরন বদলে গিয়েছে, তা নয়। সরকারি ক্ষেত্রেও বদলাতে হয়েছে কর্মসংস্কৃতির কাঠামো।
সেক্ষেত্রে যাতে অফিসাররা নিজেদের কাজে আরও বেশি করে দক্ষতার পরিচয় দেন, তার জন্যই এই সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি এটাও জানানো হয়েছে, কোনও অফিসারকে কোর্স করার জন্য জোর করা হবে না। কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। স্বেচ্ছায় যদি কেউ কোর্স করতে চান, তাহলে সেই উদ্যোগ নেবে ইপিএফও। কী কী শেখানো হবে কোর্সগুলিতে? জানা গিয়েছে, লিডারশিপ বা কাজের জায়গায় নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি, ব্যক্তিত্ব বাড়ানোর উপায়, কঠিন পরিস্থিতিতে কাজের জায়গায় মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা, যাঁরা জনসংযোগের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করার পদ্ধতি প্রভৃতির উপর কোর্স করানো হবে। এগুলি মূলত পার্সোনাল ডেভেলপমেন্ট কোর্স। পাশাপাশি থাকছে ডিজিটাল প্রযুক্তি, কম্পিউটার সায়েন্স, বিপণন ব্যবস্থাপনা, উৎপাদন সংক্রান্ত দক্ষতা বৃদ্ধি, হিসেব রক্ষা সংক্রান্ত নতুন কৌশল ইত্যাদি পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত কোর্স। তবে সেগুলির বেশিরভাগই বিনামূল্যে করানো হবে বলে দাবি করেছে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন। তারা জানিয়েছে, মোট ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এব্যাপারে চুক্তি হয়েছে কেন্দ্রের। সেগুলির বেশিরভাগই মার্কিন মুলুকে অবস্থিত। যাঁরা অনলাইনে কোর্সগুলি শেষ করবেন, তাঁরা সার্টিফিকেট পাবেন। ওই শংসাপত্র কাজের জায়গায় পদোন্নতির ক্ষেত্রে কোনও কাজে আসবে না ঠিকই, তবে সর্বস্তরে অফিসারদের পরিচালন দক্ষতা যে বাড়বে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত কেন্দ্রীয় সরকার। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে কোর্সগুলি। চলবে সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর পর্যন্ত।