বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
বিভিন্ন তেলে স্যাচুরেটেড (মিশ্রিত) ফ্যাটের পরিমাণ আলাদা আলাদা হয়। কোনওটিতে ফ্যাট থাকে অনেক বেশি, কোনওটিতে কম। পলি আনস্যাচুরেটেড এবং মোনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট মিশ্রিত তেলই সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। সেগুলি রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে। আইআইটির এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের গবেষকরা বিভিন্ন তেল পরিমাণ মতো মিশিয়ে যে গুঁড়োটি তৈরি করেছেন, তাতে এগুলি তো থাকছেই, পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও রয়েছে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট আমাদের শরীরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উপকারী ভূমিকা নেয়। শরীরের ফ্রি রেডিক্যালস (এক ধরনের দূষিত পদার্থ) নিষ্ক্রিয় করে, অনেক বেশি সতেজ রাখে। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে, অকাল বার্ধক্য রোধে, এমনকী, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের ভূমিকা আছে বলে মনে করা হয়।
যাঁর তত্ত্বাবধানে এই গবেষণাটি চলেছে, সেই অধ্যাপক হরিনিবাস মিশ্র বলেন, এমনভাবে তেলগুলি মেশানো হয়েছে, যাতে পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড (পুফা)-এর মাত্রা থাকে সবচেয়ে বেশি। এই বিভাগের অন্য গবেষকরা বলেন, বেকারি শিল্পে প্রচুর পরিমাণ দুগ্ধজাত ফ্যাটের প্রয়োজন হয়। এই অয়েল পাউডার সেই ফ্যাটের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে। এই তেলটির আরও একটি বিশেষত্ব হল এর স্থায়িত্ব। বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি হওয়ায় অন্যান্য পুফা মিশ্রিত তেলের চেয়ে এটা অনেক বেশিদিন ধরে ব্যবহার করা যাবে।
এই আবিষ্কারের জন্য গান্ধীয়ান ইয়ং টেকনোলজিক্যাল ইনোভেশন পুরস্কার পেয়েছেন গবেষকরা। এই আবিষ্কারের পেটেন্টও নেওয়া হয়ে গিয়েছে। তাই বাণিজ্যিকভাবে এর উৎপাদন শুধু সময়ের অপেক্ষা। আইআইটির অধিকর্তা বীরেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, স্বাধীনতার ৭০ বছর পরেও স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণকে আমরা বিলাসিতার পর্যায়ে রাখি। স্বাস্থ্যগুণসম্পন্ন খাবারের অত্যধিক দাম যেমন এর একটি কারণ, অন্যদিকে সচেতনতার অভাবও এই ধারণা জিইয়ে রেখেছে। তবে এরকম আবিষ্কার স্বাস্থ্যগুণসম্পন্ন খাবারকে জনসাধারণের হাতের নাগালে এনে দিতে সাহায্য করবে। কিছুদিন আগে আইআইটির অধ্যাপক সুনন্দ দাশগুপ্তর নেতৃত্বে গবেষকরা ভেজা কাপড় থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করার যন্ত্র আবিষ্কার করে চমকে দিয়েছিলেন। তাঁদেরও একই পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।