পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শুধুমাত্র আগস্ট মাসের প্রথম ১০ দিন ধরলেও দেখা যাচ্ছে, তিনটি জেলাতে পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। ওই সময়ে তিন জেলাতেই ৩০ শতাংশের বেশি বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরে তো ঘাটতি ৪০ শতাংশের বেশি। ওই ক’দিনে দক্ষিণবঙ্গের অনেকগুলি জেলাতেই অবশ্য ঘাটতি ১৯ শতাংশের বেশি হয়েছে। এর মধ্যে বর্ধমান, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ সহ কয়েকটি জেলা রয়েছে। এই জেলাগুলিতে জুন-জুলাই মাসে ভালো বৃষ্টি হয়েছিল।
তবে টানা কম বৃষ্টি হওয়ার জন্য কৃষিদপ্তরের আধিকারিকরা দুই মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা নিয়ে বেশি চিন্তিত। আমন ধান চাষের জন্য জুলাই-আগস্ট মাসের বৃষ্টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ১৫ আগষ্টের মধ্যে ধানের চারা রোপণ করে চাষ শুরু করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এর থেকে দেরি হলে উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তিনটি জেলায় স্থানীয় পর্যায়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে কৃষিদপ্তর। প্রয়োজনে সেচের ব্যবস্থা করে ধান চাষ করা হবে। বৃষ্টির ব্যাপক ঘাটতি অব্যাহত থাকলে কিছু জমিতে ধানের বদলে কম জল লাগে এমন বিকল্প চাষ করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেবে কৃষিদপ্তর।
অন্যদিকে, রাজ্যের অধিকাংশ প্রধান ধান উৎপাদক জেলাগুলিতে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় খুশি কৃষিবিদরা। শুখা জেলা হিসেবে পরিচিত পুরুলিয়া, বাঁকুড়া জুলাই মাসে স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টি পেয়েছে। এবার উত্তরবঙ্গে প্রথম থেকেই বেশি মাত্রায় বৃষ্টি হচ্ছে। সেখানকার দুই দিনাজপুর ও মালদহ জেলা তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম বৃষ্টি পেলেও এখনও পর্যন্ত তা স্বাভাবিকের মধ্যেই আছে।