পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
করোনা প্রতিরোধে রাজ্যের নানা উদ্যোগ আর পরিকাঠামো উন্নয়নের চিত্র এদিনের বৈঠকে পেশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে চিকিৎসার জন্য আরও বেশি সংখ্যক হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা এবং ভেন্টিলেটর সরবরাহের দাবিও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। কেন রাজ্যের ন্যায্য বকেয়া আদায়ের জন্য বারবার তাঁকে সরব হতে হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর সামনে সেই ব্যাখ্যাও দেন মমতা। সাফ জানান, করোনা মোকাবিলায় রাজ্য কোষাগার থেকে ২,৫০০ কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের থেকে মিলেছে মাত্র ১২৫ কোটি। স্বভাবতই টাকার অভাবে ভাইরাসের বিরুদ্ধে এই অসম যুদ্ধে রসদে যে টান পড়ছে, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এফআরবিএমের শর্তের প্রতিবন্ধকতা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, কেন্দ্র জিডিপির উপর ভিত্তি করে ঋণ নেওয়ার পরিমাণ তিন শতাংশ থেকে বাড়িয়ে পাঁচ শতাংশ করেছে। অথচ বর্ধিত অংশের মধ্যে মাত্র ০.৫ শতাংশ শর্তহীন। বাকি দেড় শতাংশ ঋণ নেওয়ার জন্য এক দেশ এক রেশন কার্ড, বিদ্যুৎ বণ্টন ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ এবং পুরকরে ভাগ বণ্টনের মতো শর্ত মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। বিপর্যয়ের সময়ে আগামী এক বছরের জন্য ওই দেড় শতাংশ ঋণ নেওয়ার পদ্ধতি নিঃশর্ত করা হোক। এতে কিছুটা সুরাহা হবে রাজ্যগুলির।
প্রধানমন্ত্রী অবশ্য এই সব প্রসঙ্গেই কার্যত নীরব থেকেছেন। বরং দেশে দ্রুত মৃত্যুহার ২ শতাংশের নীচে নেমে আসা এবং সুস্থতার হার বৃদ্ধির মতো ইতিবাচক দিকগুলিকেই তুলে ধরেছেন তিনি। জানিয়েছেন, এই ১০টি রাজ্যে যদি সংক্রমণকে প্রতিরোধ করা যায়, তাহলে করোনার বিরুদ্ধে দেশ জয়ী হবে। দিল্লি, হরিয়ানার মতো কয়েকটি শহরে সফল হওয়া ৭২ ঘণ্টার ফর্মুলার উদাহরণও দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, করোনায় কেউ আক্রান্ত হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর সংস্পর্শে যারা এসেছে, তাদের চিহ্নিত করা এবং পরীক্ষা করে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নিতে হবে। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, পশ্চিমবঙ্গ এবং তেলেঙ্গানায় করোনার পরীক্ষার প্রবণতা বাড়ানোর কথাও জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, প্রয়োজনে ম্যাক্রো কন্টেইনমেন্ট জোনও তৈরি করতে হবে। তাহলে মৃত্যুহার ১ শতাংশের নীচে আনা সম্ভব। তবে শুধু মমতা নন, কমবেশি বাকি মুখ্যমন্ত্রীরাও আর্থিক সঙ্কটের কথা তুলেছেন। বলেছেন, পরীক্ষা ব্যয়ের ৫০ শতাংশ কেন্দ্র বহন করুক। আর কেন্দ্রীয় স্তরে একটি স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়া হোক। দাবি উঠেছে আর্থিক প্যাকেজেরও।