বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বর্তমানে পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১৫ থেকে ২১ দিনের মধ্যে ফলপ্রকাশের লক্ষ্য রাখে বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু বাস্তবে অধিকাংশ পাঠ্যক্রমের ফলপ্রকাশ হতে মাসাধিক কাল চলে যায়। তাতে ছাত্রছাত্রীদের উচ্চতর পড়াশোনা, চাকরি ইত্যাদি সমস্ত ক্ষেত্রেই বিস্তর দেরি হয়ে যায়।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডাঃ রাজেন পাণ্ডে বলেন, ইলেকট্রনিক স্ক্রিবল প্যাড চালু হলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত যাবতীয় পাঠ্যক্রমের পরীক্ষার ফল পরীক্ষা শেষ হওয়ার তিনদিনের মধ্যে প্রকাশ করতে পারব। আনুষঙ্গিক খরচ হয়ত একটু বেশি পড়বে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে লাভই হবে। ছেলেমেয়েদের কেরিয়ারের অনেকগুলি দিন বাঁচবে। তাছাড়া খাতা ছাপানো, পরীক্ষা কেন্দ্রে বণ্টন, ছাত্রছাত্রীদের লেখা খাতা আনানো, কোড দিয়ে পাঠানো, পরীক্ষকদের দেখা খাতা ফেরত আনানো, ডিকোডিং করা ইত্যাদি কাজেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বছরে কয়েক কোটি টাকা বেরিয়ে যায়। নতুন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। শুরু করতে হয়তো একটু সময় লাগবে। কিন্তু এটাই ভবিষ্যৎ, এমনটাই দাবি স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের।
এই ইলেকট্রনিক স্ক্রিবল প্যাড বা ডিজিটাল স্লেটে কীভাবে পরীক্ষা দেবেন ছাত্রছাত্রীরা? নোট প্যাড বা টাচ স্ক্রিন ল্যাপটপের মতোই এখানে পরীক্ষার উত্তর দেবেন তাঁরা। কাটাকাটি, পরিবর্তন করতে চাইলে সেখানে সহজেই করা সম্ভব। লেখা শেষ হলে এন্টার মারলে সেই ডিজিটাল খাতা চলে যাবে ক্লাউড বা সদৃশ কোনও সার্ভারে। খাতা দেখা কীভাবে হবে? অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে খাতা দেখবেন পরীক্ষকরা। দেখা শেষ হলে ফের সার্ভারে সেভ হয়ে যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক সহ দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ইতিমধ্যেই পরীক্ষা পদ্ধতিতে সংস্কার শুরু করেছে। তারা খাতা আনানো, পাঠানো ইত্যাদি কাজের পিছনে সময় ও অর্থব্যয় রোধে পরীক্ষাকেন্দ্রেই স্ক্যানিং মেশিন রাখছে। খাতা লেখা শেষ হলে এবং জমা পড়লে পরীক্ষাকেন্দ্রেই খাতার কপি স্ক্যান করে আপলোড করে দেওয়া হচ্ছে সার্ভারে। পরীক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া ইউজার আইডি, পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সার্ভার থেকে খাতা দেখে নিচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পদস্থ সূত্র জানিয়েছে, ডিজিটাল স্লেটের ঠিক আগের ধাপ এই স্ক্যানিং পদ্ধতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে এই দু’টি পদ্ধতি নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।