বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই সব উপভোক্তাদের দু’কেজি চাল, ৩০০ গ্রাম মুসুর ডাল এবং এক কেজি করে ছোলা দেওয়া হবে। বণ্টনের কাজ করবেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরাই। ওই নাবালিকাদের বাড়ির লোকজন সেন্টারে এসে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে যেতে পারেন, অথবা কর্মীরা প্রয়োজনে তা বাড়িতে পৌঁছেও দিতে পারেন। এই বিষয়টি ব্লক প্রশাসনের উপরই ছেড়ে দিয়েছে দপ্তর। ১১ থেকে ১৪ বছর বয়সি, স্কুল ছেড়ে দেওয়া মেয়েদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার জন্য আলাদা প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। এই নাবালিকাদের জন্য প্রতিদিন সাড়ে ৯ টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছে। খাবার মিলবে সপ্তাহে ছ’দিন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জন্য এখনও পর্যন্ত এই খাদ্যসামগ্রী বিলি করা সম্ভব হয়নি। তবে বিভিন্ন জেলায় এমন কিশোরীদের সংখ্যা কত, তার হিসেব তৈরি করার কাজ শুরু হয় গত মাসে। হিসেবে দেখা যাচ্ছে, ২৬ হাজারের বেশি উপভোক্তা রয়েছে। দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, স্কুলে পড়াশোনা করার সময় এই সব মেয়েরা পুষ্টিকর খাবার পেত। কিন্তু কোনও কারণে স্কুল ছেড়ে দেওয়ায় তারা পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কিন্তু তা যাতে না হয়, তার জন্য এই খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই সামগ্রী দেওয়ার বিষয়টি অঙ্গনওয়াড়ি প্রকল্পের অধীনস্থ নয়। তাই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা এর চাল-ডাল কিনে তার পৃথক বিল করবেন। সেই মতো টাকা বরাদ্দ করবে দপ্তর। এই খাদ্যসামগ্রীর কোনটি কত দামে কিনতে হবে, সেটিও বলে দেওয়া হয়েছে। যেমন চাল কিনতে হবে ২৭ টাকা প্রতি কেজি, ডালের দাম ধরা হয়েছে ৯০ টাকা প্রতি কেজি এবং ৫৫-৬৫ টাকা প্রতি কেজি দরে কিনতে হবে ছোলা। সুষ্ঠুভাবে গোটা বণ্টন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দপ্তরের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, মা ও শিশু’রা এই সুবিধা পেলে, এই সব নাবালিকারা বাদ যাবে কেন! তাই তাদেরকেও এই সামগ্রী দেওয়া হবে।