পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি অমল চক্রবর্তী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে ফি কমানো নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। স্থানীয় বিধায়ক পার্থ ভৌমিকের সঙ্গে আলোচনা করে রবিবার ভর্তি বাবদ ফি কমানোর এই প্রস্তাব রাখা হয়।’ অধ্যক্ষ সঞ্জীব সাহা বলেন, ‘ইতিমধ্যেই ওয়েবসাইটেই এই সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া হয়ে গিয়েছে।’ তবে উচ্চশিক্ষা দপ্তর যে টিউশন ফি বাবদ আদায়কৃত অর্থের ৫০ শতাংশ কলেজগুলির কাছ থেকে নেয়, সেটা কীভাবে মেটানো হবে? সে ব্যাপারে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সভাপতি এবং অধ্যক্ষ। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, ‘এমন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ায় কলেজের প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে আমি গর্বিত।’
কলেজে ভর্তির আবেদনের প্রসেসিং ফি এ বছর মকুব করার জন্য কলেজগুলির কাছে আবেদন করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু, এ বিষয়ে সরকারে তরফে কোনও অর্ডার জারি হয়নি। ফলে কেউই তা মানছে না। তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার সভানেত্রী রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজে পড়ান। তারাও এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন অধ্যক্ষ বলছেন, ‘কলেজে দৈনন্দিন কাজকর্ম চালানো বিগত কয়েক বছর ধরে কঠিন হয়ে পড়ছে। উচ্চশিক্ষা দপ্তরকে টিউশন ফি-এর অর্ধেক দিয়ে দিতে হয়। কিন্তু বিদ্যুতের বিল, ইন্টারনেট বিলের মতো মোটা টাকার মাসিক খরচ হয়েছে। সেগুলি কলেজ তহবিল থেকেই দিতে হয়। তার উপরে অনেক সময় বেতন খাতে অগ্রিম মিটিয়ে দিতে হয় কলেজের তহবিল থেকে। বিভিন্ন চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বেতনও রয়েছে। সরকারি নির্দেশ থাকলে না হয় ভাবা যেত।’
দক্ষিণ কলকাতার নিউ আলিপুর কলেজ অবশ্য এই ফি মকুব করে দিয়েছে। অধ্যক্ষ জয়দীপ ষড়ঙ্গী বলেন, ‘আগেই আমাদের এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। রাজ্য সরকার অতিথি অধ্যাপকদের বেতনের দায়ভার নিয়েছে। তাতে কলেজগুলির অনেকটাই অর্থ সাশ্রয় হবে। তাই এটুকু ছাড় দেওয়া অসম্ভব কিছু নয়।’ কলেজে আবেদন শুরু হতেই বিক্ষিপ্তভাবে কোথাও কোথাও অসাধু চক্র আসরে নেমে পড়েছে। বিদ্যাসাগর কলেজের সামনে বাইক নিয়ে এদিন এক যুবক দাঁড়িয়েছিলেন। ভর্তি নিয়ে খোঁজ করতেই তিনি নিজেকে ওই কলেজের ছাত্র পরিচয় দিয়ে বলেন কোনও সমস্যা হলে মার্কশিট এবং ফর্মের সফট কপি তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপ করে পাঠিয়ে দিতে। তিনি বাকিটা বুঝে নেবেন। যদিও তিনি নিজের মোবাইল নম্বর দিচ্ছেন না। উল্টে খোঁজখবর যাঁরা করছেন, তাঁদের নম্বরই নিয়ে রাখছেন। আশুতোষ এবং চারুচন্দ্র কলেজেও ভর্তিতে অযাচিত সাহায্যকারীদের দেখা গিয়েছে। সুরেন্দ্রনাথ, উমেশচন্দ্র, বঙ্গবাসী কলেজ সাফ জানিয়েছে, ভর্তি অনলাইনে হচ্ছে।