বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সাধারণ গৃহবধূরা এই কাজে যুক্ত হওয়ায় বিএসএফ এর চিন্তা বেড়েছে। মাদক কারবারিদের মোটা কমিশনের টোপই সাধারণ গৃহবধূদের টলিয়ে দিচ্ছে। বিএসএফের নিজস্ব গোয়েন্দা বিভাগের কাছ থেকে এই ‘ইনপুট’ পাওয়ামাত্র মহিলা সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে সতর্ক করা হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় মহিলাদেরও তল্লাশি চালাতে শুরু করছে। রানিনগর থানার রাজনগর সীমান্তবর্তী এলাকায় কয়েকজন মহিলার নামও বিএসএফ পেয়েছে। দু’দিন আগে বিএসএফ এই থানা এলাকা থেকেই বাসন্তী মণ্ডল নামে বছর ৩৫-এর এক গৃহবধূকে পাকড়াও করে। তার কাছে থেকে প্রায় চার হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার হয়। ওই গৃহবধূর কোনও ক্রাইম রেকর্ড নেই। জেরায় বিএসএফকে সে জানিয়েছে, এই ট্যাবলেট পৌঁছে দিতে পারলে সে পাঁচ হাজার টাকা পেত। তার কাছ থেকে তিনজন গৃহবধূর নাম জানতে পেরেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। সকলের বয়স ৪৫বছরের মধ্যে।
মহিলারা মাঠে কাজ করতে যান। সেই সুবাদেই জিরো পয়েন্টের কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ হয়। প্রায় প্রত্যেকের হাতেই থাকে টিফিন বক্স। বছরের পর বছর এমনটাই হয়ে আসছে। এখন সেই বক্সে নেশার সামগ্রী পাচার হয়ে যাচ্ছে। কখনও তা জলের বোতলেও চলে যাচ্ছে। ওপারে আগে থেকেই বাংলাদেশের স্মাগলাররা অপেক্ষা করে। শিখিয়ে দেওয়া সঙ্কেত বুঝেই তারা কারবারিদের হাতে ইয়াবা বা চরস তুলে দেয়। তবে, এই ধরনের কাজে ঝুঁকি আছে। তাই চুক্তির বেশিরভাগ টাকাই আগে মহিলাদের দিয়ে দিতে হয়। লাইনের এটাই নিয়ম। এমনকী, কেস হলে থানা, আদালত করার জন্যও পরিবারকে টাকা দিতে হয়। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস পাওয়ার জন্যই মহিলারা এগিয়ে যাচ্ছে বলে বিএসএফ অফিসাররা মনে করছেন।
নিয়ম অনুযায়ী জিরো পয়েন্টের কাছাকাছি যেতে হলে বিএসএফের ক্যাম্পে নাম এন্ট্রি করতে হয়। সেই সময় বিএসএফ তল্লাশি চালায়। এতদিন পুরুষদের কড়াকড়ি করা হলেও মহিলাদের সেভাবে তল্লাশি চালানো হতো না। কিন্তু এই তথ্য হাতে আসার পরেই তাদেরও তল্লাশি শুরু হয়েছে। কোনও মহিলাকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখলে জেরা করা হচ্ছে। ঘাসের বস্তা, টিফিন বক্স বা জলের বোতলও ভালো করে দেখা হচ্ছে। তা করতে গিয়েই দু’দিন আগে ওই মহিলা ধরা পড়ে যায়। বিএসএফের ডিআইজি কুণাল মজুমদার বলেন, সীমান্তে কয়েকদিনের মধ্যে অনেক মাদক কারবারি গ্রেপ্তার হয়েছে। আমাদের কড়া নজর রয়েছে।